হাদীসে বর্নিত হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধ কখন হবে? আমরা কি হিন্দুস্তানের যুদ্ধ দেখতে পাব?

আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে হাদিসে বর্ণিত হিন্দুস্তানের যুদ্ধ সম্পর্কে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা দেখা যাচ্ছে। যদিও আমাদের বেশিরভাগ মুসলিম ভাই জানেই না, আসলে হাদীসে বর্নিত হিন্দুস্তানের যুদ্ধ কখন হবে? আশ্চর্যের ব্যাপার হল, হিন্দুস্তানের যুদ্ধের পূর্বেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে মালউনরা পাকিস্তান ধ্বংস করে এবং নিজেরাও ধ্বংসের মুখোমুখি হবে, এছাড়াও চীন, বাংলাদেশ সহ পুরো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ৩০০ কোটি মানুষকে ধ্বংসের মুখোমুখি ফেলে দিবে, অথচ এব্যাপারে আমাদের বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। যদিও এই বিষয়টি আমাদের খুবই নিকটবর্তী এবং এই মহা বিপর্যয়টি আমাদের যুগেই হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। এমনকি আমি খুবই ব্যাথিত হই, যখন দেখি আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা একটা কিছু দেখলেই কথায় কথায়, হাদিস বর্নিত হিন্দুস্তানের যুদ্ধ নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা শুরু করে দেয়, অথচ এব্যাপারে তাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। তাই হাদীসে বর্নিত হিন্দুস্তানের যুদ্ধটি আসলে কখন হবে? এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করছি।

** হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধে তোমাদের সম্পদ, তোমাদের হাত, তোমাদের জিহ্বা (কথার মাধ্যমে) জিহাদ কর"।

(হাদীসের মানঃ সহিহ, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং - ৩০৯৬)

⚫তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারত কতৃক পাকিস্তান ধ্বংস হওয়াঃ
___________________________________________________

* হযরত হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অধঃপতন শুরু হবে। এমনকি মিশর অধঃপতনের সম্মুখীন হবে। আর মিশর নিরাপদ থাকতেই বসরার(ইরাক) অধঃপতন হবে। বসরা(ইরাকের) অধঃপতন হবে ডুবে যাওয়ার কারনে। মিশরের অধঃপতন হবে নিলনদ শুকিয়ে যাওয়ার কারনে। মক্কা ও মদিনার অধঃপতন হবে ক্ষুধার কারনে। ইয়েমেনের অধঃপতন হবে পঙ্গ পালের কারনে। উবলা'র অধঃপতন ঘটবে অবরোধের মাধ্যমে। পারস্যের(ইরানের) অধঃপতন হবে রিক্তহস্ত ও চোরডাকাতের মাধ্যমে। তুর্কিদের(তুরস্কের) অধঃপতন হবে দায়লামীর(কুর্দি) পক্ষ থেকে। দায়লামী(কুর্দি) অধঃপতন হবে আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে। আর্মেনিয়ার অধঃপতন হবে "খাযার"(রাশিয়া) পক্ষ থেকে।" খাযার"(রাশিয়া) এর অধঃপতন হবে তুর্কি(তুরস্ক) পক্ষ থেকে। আর তুর্কি(তুরস্ক) অধঃপতন হবে বজ্রাঘাতের(পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ) এর মাধ্যমে। সিন্ধ(পাকিস্তান) এর অধঃপতন হবে হিন্দুস্তান(ভারত) পক্ষ থেকে। হিন্দুস্তানের (ভারত) অধঃপতন হবে তিব্বতের (চীন) পক্ষ থেকে। তিব্বতের(চীন) অধঃপতন হবে "রমূল"(প্রাচীন রোমানদের একটি গোত্র বা, আমরিকা) পক্ষ থেকে। হাবসার (ইথিওপিয়া) অধঃপতন হবে ভূমিকম্পের মাধ্যমে। "জাওরা" (বাগদাদ) এর অধঃপতন হবে সুফিয়ানীর তান্ডবের কারনে। "রাওহা"(বাগদাদ শহরের ছোট এলাকা) এর অধঃপতন হবে ভূমিধ্বসের মাধ্যমে। আর সম্পূর্ণ কুফা(ইরাক) এর অধঃপতন হবে হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে।

( গ্রন্থঃ তাজকিরাহ, লেখকঃ ইমাম কুরতুবী, আন নিহায়া ফিল ফিতান, লেখকঃ ইবনে কাসীর, আস সুনানু ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান)

** হযরত ওহাব বিন মুনাব্বাহ (রাঃ) বলেন, আরব উপদ্বীপ(সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান) ততক্ষন পর্যন্ত ধ্বংস হবে না, যতক্ষণ না মিশর ধ্বংস হয়। বিশ্বযুদ্ধ (আমাক প্রান্তের মহাযুদ্ধ) ততক্ষন পর্যন্ত শুরু হবে না, যতক্ষণ না কুফা(ইরাকের একটি শহর) ধ্বংস না হয়। বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বনু হাশেমের এক ব্যক্তির হাতে কুস্তুন্তুনিয়া(ইস্তাম্বুল) বিজয় হবে। আন্দালুস(স্পেন) ও আরব উপদ্বীপ(সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত, বাহরাইন ওমান) এর অধঃপতন ঘটবে ঘোড়ার পা ও সেনাবাহিনীর পারস্পরিক মতানৈক্যের কারনে। ইরাকের অধঃপতন হবে ক্ষুধা ও তরবারি (অস্ত্র) কারণে। আরমেনিয়ার অধঃপতন ঘটবে ভূমিকম্প ও বজ্রাঘাতের(সম্ভবত পারমাণবিক বোমা বা, মিসাইল নিক্ষেপের) কারনে। কুফা(ইরাকের একটি শহর) ধ্বংস হবে শত্রুদের পক্ষ থেকে। বসরা(ইরাক) ধ্বংস হবে ডুবে যাওয়া/নিমজ্জিত হওয়ার কারণে। "উবলা"র অধঃপতন হবে শত্রুদের পক্ষ থেকে। "রাই"(ইরানের একটি শহর) এর অধঃপতন হবে দাইলামের(তুরস্ক ও ইরানের উত্তর এলাকার একটি তুর্কি গোত্র বা, কুর্দি জাতি) এর পক্ষ থেকে। খোরাসানের(আফগানিস্তান ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা) অধঃপতন ঘটবে তিব্বত(চীন) এর পক্ষ থেকে। তিব্বত(চীন) এর অধঃপতন ঘটবে সিন্ধ(পাকিস্তান ও কাশ্মীর) এর পক্ষ থেকে। সিন্ধ (পাকিস্তান) এর অধঃপতন ঘটবে হিন্দুস্তান(ভারত) এর পক্ষ থেকে। ইয়েমেনের অধঃপতন ঘটবে টিড্ডি (পঙ্গপাল) ও বাদশাহীর কারনে। মক্কার অধঃপতন ঘটবে হাবশা(ইথিওপিয়া) এর পক্ষ থেকে। আর মদিনার অধঃপতন ঘটবে ক্ষুধার কারনে।

(আসসুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান, খণ্ড - ৪, পৃষ্ঠা - ৮৮৫)

⚫দুটি হাদীসেই একেবারেই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সিন্ধু (পাকিস্তান) ধ্বংস হবে হিন্দুস্তানের (ভারতের) পক্ষ থেকে। আর হিন্দুস্তান (ভারত) ধ্বংস হবে তিব্বত (চীনের) পক্ষ থেকে। উল্লেখ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের বছর এবং ভয়ংকর যুদ্ধটির স্থায়ীত্ব হবে মাত্র পাঁচ থেকে ১১ মাস, যদিও এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই এবং আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিতও নই। বিস্তারিত জানতে পড়ুন, "ভয়ংকর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবী" লিংকঃ
https://plus.google.com/101401526729996672060/posts/2Rrfg4mqzZV


⚫পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে ভারত কী কী পরিকল্পনা করছে?
___________________________________________________

ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। জন্মের পর থেকেই এই দুটি দেশ হুমকি, ধমকি, সীমান্তে গোলাগুলি, আর পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েই প্রতিনিয়ত দিন চলছে। এছাড়াও ১৯৬৫ ও ১৯৯৯ সালে এই দুটি দেশ ছোট খাট যুদ্ধে ঝড়িয়েও পরেছিল। ভবিষ্যতেও যে এই দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যেকোন মূহুর্তে যুদ্ধে ঝড়িয়ে পারতে পারে, এরকম আশঙ্কা সবাই করছেন। প্রতিনিয়ত পাল্লা দিয়ে বারিয়েই চলছে অস্ত্রের মজুদ, তাই পরবর্তীতে যুদ্ধ হলে সেটা যে, পারমাণবিক বোমা ব্যবহার হবে এরকম আশঙ্কা সবাই প্রকাশ করছেন। ভারত ও পাকিস্তানে বর্তমানে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ বসবাস করছে, এবং একই সাথে এই দু’দেশের ২৫০ টি পারমাণবিক বোমাও রয়েছে। যার কারনে উপমহাদেশের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক উত্তরাঞ্চলের কমান্ডার বিএস জাসওয়াল পাকিস্তানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ভারতের সাথে যুদ্ধ হলে পাকিস্তান প্রস্তর যুগে ফিরে যাবেঃhttps://www.facebook.com/rtvonline/posts/10156473984829644
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর পশ্চিম ভারতে কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও দিল্লীতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী যুদ্ধের সময় ভয়ংকর বিপর্যয় এড়াতে এবং প্রায় ২ কোটি ৫০ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে মাটির নিচে বাংকার নির্মাণ করছে। বিশ্লেষকরা যা পাকিস্তানের সাথে পরবর্তী যুদ্ধের আগাম লক্ষন হিসেবে অভিহিত করেছেন।

কিন্তু হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, শুধুমাত্র পাকিস্তানই ভারতের হামলার কারনে ধ্বংস হয়ে যাবে, কেননা মুসলিম জাতির ধর্মই হল, আক্রান্ত হলে প্রতিরোধ করা, তাই হয়তো পাকিস্তান কখনও আগ বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না, ভারতই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে সর্বপ্রথম পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে, যার কারণে পাকিস্তান সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। ভারত ও পাকিস্তানের অস্ত্রের মজুদ কি পরিমান রয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে এই ভিডিওটি দেখুনঃhttps://youtu.be/0_WCR2lKstU


⚫ ভারতকে ধ্বংস করতে চীন কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
_________________________________________________

যারা আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি ভালো জানেন, তারা দেখেছেন, ইতোমধ্যেই চীনের কাছে ভারত কিভাবে পররাষ্ট্র নীতি ও ভূ-রাজনীতিতে একের পর এক ধরা খেয়েই যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়াতে চীন দিন দিন ভারতকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে, এছাড়াও ইতিপূর্বে ১৯৬৫ সালে ভারত চীনের কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়েছে। মূলত ভারতের সীমান্তবর্তী দেশগুলো হলঃ পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও মায়ানমার। বর্তমানে চীন ভারতের সীমান্তবর্তী প্রতিটি দেশের উপরই চাচ্ছে ভারতের প্রভাব মুক্ত করে সেখানে প্রভাব বিস্তার করতে। ভারত মহাসাগরের কাছাকাছি অবস্থিত দেশ হল শ্রীলঙ্কা, ভারত থেকে যার দূরত্ব মাত্র ৩০ কিঃমিঃ। আর চীন শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা সমুদ্র বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লিজ (ইজারা) নিয়েছে, মূলত এর মাধ্যমেই চীন পুরো দক্ষিণ ভারতে নজরদারি ও ভবিষ্যত হামলা করার ভিত্তি তৈরি করে নিয়েছে। এছাড়াও উত্তর ভারতের সীমান্তবর্তী হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ এখন চীন নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের রাজ পরিবারের অবসানের পর নেপালের রাজনীতিবিদ গন সম্পূর্ণ ভাবে চীন নির্ভরশীল হয়ে গেছে, এছাড়াও চীন নেপালের বিমান বন্দর ৫০ বছরের জন্য লিজ (ইজারা) নিয়েছে, যার মাধ্যমে উত্তর ভারতে ভবিষ্যৎ হামলার পথ তৈরি করে নিয়েছে। আর পাকিস্তানের সাথে চীনের সম্পর্কের কথা তো সবাই জানে, ইতোমধ্যে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অধিকৃত আজাদ কাশ্মীর এলাকায় চীনের সামরিক ঘাটি নির্মাণও করেছে, যার মাধ্যমে ভারতের রাজধানী দিল্লি সহ কাশ্মীর, পাঞ্জাব এলাকায় ভবিষ্যৎ হামলার পথ তৈরি করে ফেলছে।  এছাড়াও ভারত মহাসাগরের আরেক রাষ্ট্রে এই প্রথম চীন মালদ্বীপ সরকারের অনুরোধে সেখানে সরাসরি সেনা বাহিনী পাঠিয়ে তার আগ্রাসী পররাষ্ট্র নীতির খোলস দেখিয়েছে। আর পূর্ব ভারতের সীমান্তবর্তী মায়ানমার তো বরাবরই চীনের উপর নির্ভরশীল, সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কিত আরাকান অঞ্চলে রোহিঙ্গা বিতাড়িত করে সেখানে নাকি সামরিক ঘাটি নির্মাণ করেছে, এছাড়াও মায়ানমার সরকার সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য চীনের কোম্পানি গুলোকে ৭০% শেয়ারে দিয়ে দিয়েছে। ভারত সরকার চেয়েছিল, রোহিঙ্গা বিতাড়নের সময় মায়ানমারের পাশে থেকে তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে, কিন্তু তাদের সে আশায় গুরে বালি হবে, কারণ মায়ানমার কখনো চীনকে ছেড়ে ভারতের পক্ষে আসবে না। বলা যায়, ভারত এখন পর্যন্ত তার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের উপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছে। আর সেটাও এখন পর্যন্ত টিকে থাকার মূল কারণ হলো ভারত পন্থী আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতা জোর করে দখল করার কারনে, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন মানে ভারতের সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণ করা দেশের পতন হওয়া, তাই ভারত কিছুতেই বাংলাদেশের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে চাচ্ছে না। আর ভারত ও চীনের এই দ্বন্দ্ব যে যেকোন সময় বিশাল পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেবে, সেটা ডোকলাম ইস্যুতে বুঝা গেছে, আর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদীসের বাস্তবতা ইতোমধ্যেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাই ভারতের উপর যদি চীন পারমাণবিক বোমা হামলা চালায়, ১২০ কোটি মানুষ সব ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এব্যাপারে পাকিস্তানের মুহাম্মদ বিন কাশিম নামে এক ব্যক্তির স্বপ্নে দেখেছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বলেছেন, ভারতের যুদ্ধে ৮০ কোটি মানুষ ধ্বংস হবে, ইউটিউবে গেলেই Mohammad qasim dreams/Abdullah servent লিখে সার্চ দিলেই তার ভিডিও গুলো দেখতে পাবেন, যদিও তার স্বপ্ন কোন দলিল নয়, তারপরও কেবলমাত্র তথ্য হিসেবে সতর্কতার জন্য ঊল্লেখ করা মাত্র । ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ও অস্ত্রের মজুদ সম্পর্কে জানতে এই ভিডিওটি দেখুনঃhttps://youtu.be/2Rsra3C9YC8


⚫ হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধের পূর্বে মুসলমানদেরকে অভিশপ্ত মালউনরা গরু ছাগলের মত বাজারে ক্রয় বিক্রয় করবে?
____________________________________________________

** রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মুশরিকগন(হিন্দু ও বৌদ্ধ) মুসলমানদেরকে নিজেদের কাজে নিয়োজিত করবে, এমনকি তাদেরকে (মুসলমানদেরকে) বড় বড় শহরে কেনা বেচা করবে এবং (হিন্দু ও বৌদ্ধদের) ভালো মন্দ কোন ব্যাক্তি এই কাজ করে করতে ভয় পাবেনা। তখন তারা(মুসলমানরা) সবাই নিরাশ হয়ে যাবে এবং ভাবতে থাকবে, তাদের মুক্তির আর কোন উপায় নেই। ঠিক সেই সময়ে আল্লাহ তায়ালা আমার বংশের (বনু হাশেম গোত্রের) এক ব্যক্তিকে আবির্ভূত করাবেন, সে হবে ন্যায় পরায়ন, পূণ্যময় ও পবিত্র। সে ইসলামের কোন বিধানই উপেক্ষা করবে না। মহান আল্লাহ তার মাধ্যমে ধর্ম, কুরআন, ইসলাম ও মুসলমানদের সম্মান প্রদান দিবেন এবং মুশরিকদের লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করবেন। সে সবসময় আল্লাহকে ভয় করবেন এবং মহান আল্লাহর বিধি বিধান প্রয়োগ করতে তার কোন স্বজনদের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। সে তার নিজের জন্য পাথরের উপর পাথর সাজাবেন না এবং কোন ইমারত নির্মাণ করবেন না। একমাত্র শরীয়া প্রয়োগ ব্যতীত কাউকে চাবুক মারবে না। তার মাধ্যমে আল্লাহ সকল বিদআতের মূলোৎপাটন করাবেন এবং সকল ফিতনার অবসান ঘটাবেন। তার মাধ্যমে আল্লাহ সকল ন্যায় সংগত অধিকারের দরজা উন্মুক্ত হবে এবং বাতিলের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। আর যেখানেই মুসলমানরা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকুক না কেন? আল্লাহ তার মাধ্যমে তাদেরকে মুক্ত করাবেন এবং তাদেরকে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেবেন"।

(আল মালাহিম ওয়াল ফিতান, পৃষ্ঠা - ১০৮, আসরে জুহুরী, লেখকঃ আল্লামা আলী আল কুরানী, পৃষ্ঠা - ৪৪)


⚫ হিন্দুস্তানের যুদ্ধের গুরুত্ব ও ফজিলতঃ
_______________________________________

** হযরত ছাওবান (রাঃ)থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "আমার উম্মতের দুটি দল, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দান করবেন। একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈসা ইব্‌ন মারিয়াম (আঃ)-এর সঙ্গে থাকবে"।

(হাদিসের মান: সহিহ, সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩১৭৫)

** হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, "রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাদেরকে হিন্দুস্থানের জিহাদের ওয়াদা দিয়েছেন। আমি তা পেলে তাতে আমার জান মাল উৎসর্গ করব। আর যদি আমি নিহত হই, তবে মর্যাদাবান শহীদ বলে গণ্য হব, আর যদি ফিরে আসি, তা হলে আমি হব আযাদ বা জাহান্নাম হতে মুক্ত আবূ হুরায়রা"।

(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩১৭৪)


⚫হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধ হবে হযরত ঈসা ইবনে মারিয়ম (আঃ) এর আকাশ থেকে অবতরণের কিছু পূর্বে?
____________________________________________________

** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, “ অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন)”। এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবন-ই-মারিয়াম কে সিরিয়ায় (শাম) পাবে। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, “ আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন অ পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্ (সুবঃ) আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ (সাঃ) ! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একজন সাহাবী ।”বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘ খুব কঠিন, খুব কঠিন ’ ।

(মুসনাদে আহমাদ, শাইখ নাসের উদ্দিন আলবানী রহঃ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)


⚫ হিন্দুস্তানের যুদ্ধ হবে একজন ইয়েমেনী খলিফার নির্দেশে?
________________________________________________

** হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, "বায়তুল মোকাদ্দাসের (জেরুজালেমের) একজন বাদশাহ ভারতের দিকে সৈন্য প্রেরণ করবে এবং সেখানের যাবতীয় সম্পদ ছিনিয়ে নিবে। ঐ সময় ভারত বায়তুল মোকাদ্দাসের (জেরুজালেমের) একটি অংশ হয়ে যাবে। তখন তার সামনে ভারতের সৈন্য বাহিনী গ্রেফতার অবস্থায় পেশ করা হবে। প্রায় গোটা পৃথিবী তার শাসনের অধীনে থাকবে। ভারতে তাদের অবস্থান দাজ্জালের আবির্ভাব হওয়া পর্যন্ত থাকবে"।

( আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৫)

** হযরত আরতাত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, "উক্ত ইয়ামানী খলীফার নেতৃত্বে কুস্তুনতুনিয়া (ইস্তাম্বুল) এবং রোমানদের এলাকা বিজয় হবে। তার যুগে দাজ্জালে আবির্ভাব হবে এবং হযরত ঈসা (আঃ) আগমন করবেন। তার আমলে ভারতের যুদ্ধ সংগঠিত হবে, যে যুদ্ধের কথা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলে থাকেন"।

(আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৮)

⚫এখন প্রশ্ন হলঃ কে এই ইয়েমেনী খলিফা? তার নাম কি হবে? কখন তিনি বায়তুল মোকাদ্দাস (জেরুজালেমের) শাসক হবেন? তিনি কতদিন পৃথিবীকে শাসন করবেন?

মূলতঃ আমাদের বেশিরভাগ মুসলমানদের ধারণা হল, ইমাম মাহদিই হলেন সেই খলিফা এবং তার নেতৃত্বেই হিন্দুস্তানের যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় হবে? কিন্তু সত্যি কথা হল, ইমাম মাহদী ও হযরত ঈসা (আঃ) একই সময়ে আবির্ভাব হবে না। মূলত তারা আলাদা দুটি যুগে আত্নপ্রকাশ করবেন। বিস্তারিত জানতে পড়ুন "ইমাম মাহদী ও হযরত ঈসা (আঃ) একই সময়ে আবির্ভাব হবে না? ইমাম মাহদীর মৃত্যুর পর কারা পর্যায়ক্রমে খলিফা হবেন?" লিংকঃ https://plus.google.com/101401526729996672060/posts/jmgdwvj21W3

অর্থাৎ ইমাম মাহদীর মৃত্যুর পর আহলে বাইত বা, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বংশের দুজন খলিফা, তারপর মুজারী বংশের বা, মাখজুমী খলিফা, তারপর কয়েকজন ইয়েমেনী খলিফা শাসক হবেন। আর এই ইয়েমেনী খলিফাগন যখন শাসক হবেন, তাদের শেষ দুজন বনু হাশেম বা, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বংশের হবেন। প্রথমজন ৪০ বছর শাসন করবেন, তার সময়েই খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে আমাক প্রান্তের মহাযুদ্ধ শুরু হবে এবং তিনি এই যুদ্ধের সময়েই মারা যাবেন। তারপর বনু হাশেম গোত্রের আরেকজন খলিফা হবেন এবং তার সময়েই আমাক প্রান্তের মহাযুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় হবে, কনিষ্টেন্টিনেপোল (ইস্তাম্বুল) বিজয় হবে, ইউরোপ বিজয় হবে, এবং হিন্দ বা, ভারতের যুদ্ধেও মুসলমানদের বিজয় হবে। তিনিই হবেন ঈসা আঃ আগমনের পূর্বে মুসলমানদের শেষ খলিফা এবং তার পিছনেই হযরত ঈসা (আঃ) নামাজ আদায় করবেন। তার শাসনকাল ৩ বছর বা, ৭ বছর হতে পারে, কারণ

** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, (আমাক প্রান্তের) মহাযুদ্ধ এবং (কন্সটান্টিনোপল) শহর বিজয়ের মধ্যে ছয় বছরের ব্যবধান হবে। আর সপ্তম বছরে মাসীহ দাজ্জাল আবির্ভূত হবে।

(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪২৯৬)


⚫গাজওয়াতুল হিন্দ বা, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশদাতা ইয়েমেনী খলিফার নাম কী হবে?
____________________________________________________

গাজওয়াতুল হিন্দ বা, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশদাতা এই ইয়েমেনী খলিফার নাম হবে সালেহ বা, মুহাম্মদ বা, আস্সই'গ ইবনে ইয়াজিদ। যিনি খিলাফতের রাজধানী বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে ভারত আক্রমণ করার নির্দেশ দিবেন।

** হযরত আবু কুবাইল (রহঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, বনু হাশেমের জৈনিক লোক যার নাম আসবাইগ ইবনে ইয়াজিদ। তার হাতেই রোমানদের এলাকা বিজয় হবে"।

(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২২০)

** হযরত আবু কুবাইল (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, কোনো নবীর নামের সাথে মিল রয়েছে এমন একজনের হাতে কুস্তুন্তুনিয়া (ইস্তাম্বুল) নগরীর বিজয় হবে। হাদীস বর্ণনাকারী, ইবনে লাহইয়্যাহ (রহঃ) বলেন, তাদের কিতাবে লেখা রয়েছে যে, উক্ত নবীর নাম হবে সালেহ আঃ (অর্থাৎ সালেহ নামের একজন খলিফার নেতৃত্বে কনিষ্টেন্টিনেপোল বিজয় হবে)।

(আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৩৪৭)

তবে কিতাবুল ফিতানের ১১৮৫ নং হাদীসে এই উম্মতের শেষ খলিফার নাম বলা হয়েছে মুহাম্মদ।

[বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমার ব্যক্তিগত গবেষণায় মনে হচ্ছে, কনিষ্টেন্টিনেপোল বিজয়ী, ইউরোপ বিজয়ী, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশদাতা এই খলিফার নাম হবে সালেহ। কারন, কিতাবুল ফিতানের ১৩৪৭ নং হাদীসের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ আরো হাদিস রয়েছে এবং এই নামটি একজন নবীর নামও বটে ]


⚫তাহলে কী হিন্দুস্তানের যুদ্ধ আমাদের যুগে হবেনা?
_________________________________________________

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে, হাদিসে বর্ণিত হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধ আমাদের জমানায় বা, যুগে হবে না। কারণ -

১, হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধ হবে জেরুজালেমের একজন ইয়েমেনী খলিফার নির্দেশে? অথচ এখন পর্যন্ত জেরুজালেম ইহুদীদের হাত থেকেই উদ্ধার হয়নি। মূলত জেরুজালেম ইহুদীদের হাত থেকে উদ্ধার করবেন সুফিয়ানী এবং খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনী। তবে জেরুজালেম তৃতীয় বারের মত বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ২০২৩ সালে (ইনশাআল্লাহ)। তারপর সেখানে ইমাম মাহদীর মাধ্যমে খিলাফতের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। আর উক্ত ইয়েমেনী খলিফাগন ইমাম মাহদীর মৃত্যুর অনেক পরে রাজত্ব করবেন। তাই এখনই হিন্দুস্তানের যুদ্ধ নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।

২, হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধ হবে দাজ্জালের আবির্ভাব ও হযরত ঈসা (আঃ) এর অবতরণের কিছু পূর্বে। আর ইমাম মাহদী ও ঈসা (আঃ) আবির্ভাবের মধ্যে রয়েছে শত বছরের বেশি ব্যবধান। বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ https://plus.google.com/101401526729996672060/posts/jmgdwvj21W3
তাই এখনও যেহেতু ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হয়নি, তাই হিন্দুস্তানের যুদ্ধ আমাদের যুগে হওয়া কল্পনাতীত।

৩, মূলত ইমাম মাহদীর আবির্ভাব আমাদের খুবই নিকটবর্তী (২০২৮ সালে ইনশাআল্লাহ) কিন্তু হযরত ঈসা (আঃ) অবতরণ আমাদের নিকটবর্তী নয়। আর হিন্দুস্তানের যুদ্ধ যেহেতু হযরত ঈসা (আঃ) আকাশ থেকে অবতরণের কয়েক বছর পূর্বে হবে এবং হিন্দুস্তানের যুদ্ধে বিজয়ী যোদ্ধারা শাম দেশে হযরত ঈসা (আঃ) সাক্ষাৎ পাবে, তাই এখনই হিন্দুস্তানের যুদ্ধ নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

৪, হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধের কাছাকাছি সময়ে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের আমাক প্রান্তের বা, দাবিক পাহাড়ের চুড়ান্ত যুদ্ধ হবে। আর এই যুদ্ধে রোমানদের নেতৃত্ব দিবেন আন্দালুস (স্পেন) এবং মুসলমানদের খলিফা থাকবেন বনু হাশেম (রাসূলুল্লাহ সাঃ এর) গোত্রের। যিনি জেরুজালেম থেকে ৪০ বছর  মুসলিম বিশ্ব শাসন করবেন, যা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। তাই এখনই হিন্দুস্তানের যুদ্ধ নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

৫, হিন্দুস্তানের যুদ্ধের নির্দেশ দাতা ইয়েমেনী খলিফার নাম হবে আসবাইগ ইবনে ইয়াজিদের অথবা, সালেহ। এই হাদিসটি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি, তাই হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধ নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ থেকে বিরত থাকা উচিত।

এছাড়াও বর্ননা করার মত আরো অসংখ্য কারণ রয়েছে, শুধুমাত্র লেখা সংক্ষিপ্ত করার জন্য উল্লেখ করা হয়নি।

⚫আমাদের উচিত হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া?
____________________________________________________

যেহেতু ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের বছর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর প্রেক্ষাপট ইতোমধ্যেই সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানে আল্লাহ তায়ালা তৈরি করছেন, তাই আমাদেরকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়েই উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার।

** হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, শাম দেশে (সিরিয়া) ব্যাপক ফিৎনা দেখা দিবে। যখনই উক্ত দেশের কোনো প্রান্তের ফিৎনা একটু শান্ত হবে, তখনই অন্য প্রান্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। এভাবে চলতে থাকবে যা কখনো স্থিতিশীল হবেনা, এক পর্যায়ে একজন ঘোষক (হযরত জিব্রাইল আঃ) আসমান থেকে ঘোষনা করবে, হে লোকসকল! নিঃসন্দেহে অমুক হচ্ছে,(ইমাম মাহদী) তোমাদের আমীর।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৭৩ ]

আল্লাহর কসম ! এই হাদিসটির সত্যতা ইতোমধ্যেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানে সিরিয়ার যুদ্ধবিগ্রহ আস্তে আস্তে বর্তমান পৃথিবীর সকল সুপার পাওয়ারদের গ্রাস করে ফেলছে। খুব শীঘ্রই আমরা এসব সুপার পাওয়ার দের পতন দেখতে পাব ইনশাআল্লাহ। আর সিরিয়ার এই ফিতনা চলবে ১২ থেকে ১৮ বছর, ইতোমধ্যেই আমরা ৮ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছি। তাই বর্তমান জালেম সুপার পাওয়ার দের পতন ও মুসলমানদের সুদিন খুব বেশি দূরে নয়। তবে তার আগে মুসলমানদেরকে সন্তান প্রসব বেদনার মত অনেক দুর্যোগ অতিবাহিত করতে হবে।

** হযরত আরতাত (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, দ্বিতীয় সুফিয়ানীর যুগে যুদ্ধ-বিগ্রহ এত ব্যাপক আকার ধারন করবে, যা দ্বারা প্রত্যেক জাতি মনে করবে, তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৩২ ]

আমার ব্যক্তিগত গবেষণায় হাদীসে বর্নিত দ্বিতীয় সুফিয়ানীর উত্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ২০২৫ বা, ২০২৬ সালের দিকে (তবে সুনির্দিষ্ট সময় কেবল মাত্র আল্লাহই ভালো জানেন)। তাই দ্বিতীয় সুফিয়ানীর যুগে এবং ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের বছর যেহেতু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চুড়ান্ত রূপ নিবে, তাই আমাদেরকে এই ভয়ংকর বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে পড়াশোনা ও উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার, যেহেতু এই বিশ্বযুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত, পাকিস্তান, চীন, আমরিকা, ইউরোপ।

**বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্নিত,তিনি বলেন,(মাহদীর আবির্ভাবের বছর) রমাযান মাসে এমন বিকট শব্দে (পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের) আওয়াজ প্রকাশ পাবে, যা দ্বারা ঘুমন্ত লোকজন জাগ্রত হয়ে যাবে এবং কুমারী নারীগন পর্দা ছেড়ে বেরিয়ে পড়বে। শাওয়াল মাসে মহামারি দেখা দিবে। জিলক্বদ মাসে এক গোত্র আরেক গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে। এবং জিলহজ্ব মাসে পরস্পরের মাঝে খুন-খারাপি দেখা দিবে। অতঃপর মুহাররম, মুহাররম মাসে,মুহাররম কি!এভাবে তিনবার উচ্চারন করার পর বললেন, মুহাররম মাস হচ্ছে,তৎকালীন রাজা-বাদশাহদের রাজত্ব খতম (ধ্বংস) হয়ে যাওয়ার মাস"।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪৫ ]

এই হাদিস থেকে আমরা স্পষ্ট ভাবে জানতে পারলাম ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের বছর বিশেষ করে মুহাররম মাসে অবশ্যই বর্তমান তথাকথিত সকল সুপার পাওয়ার (আমরিকা, রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ঈসরাইল) রাষ্ট্রকে আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিবেন এবং একই সাথে মুসলিমদেরকে আবার বিশ্ব নেতৃত্ব ফিরিয়ে দিবেন। তাই আমাদের হতাশ, কিংবা মনক্ষুন্ন হওয়ার কিছুই নেই, কারণ আমাদের সুদিন খুব শীঘ্রই ফিরে আসছে। তবে পৃথিবীর এসব সুপার পাওয়ার দের পতনের সাথে সাথে পৃথিবীর বৃহৎ জনগোষ্ঠীও কিন্তু ইতিহাসের পাতায় চিরতরে হারিয়ে যাবে।

** হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) বলেছেন, "পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এ ঘটনা (ইমাম মাহদীর আবির্ভাব) ঘটবে না। তখন আমি (আবু বসির) জিজ্ঞেস করলাম, যখন পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন কোন ব্যাক্তি অক্ষত থাকবে? উত্তরে, হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) বলেছেন, তোমরা(মুসলমানেরা) কি অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশের মধ্যে থাকতে চাও না?"
(বিহারুল আনোয়ার, খন্ড ৫২,পৃষ্ঠা ১১৩,  আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা নং - ১৯০)

তাই আমাদেরকে সম্ভব্য আমাদের যুগের ঘটনা গুলো নিয়েই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত এবং এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। একইসাথে হাদীসে বর্নিত হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধ যেহেতু আমাদের যুগে হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই এগুলো নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বাদ দেওয়া উচিত। কারন এতে আমাদের কোন ফায়দা নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ বুঝার তৌফিক দান করুন।

Popular posts from this blog

ইমাম মাহদী কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন? আমরা তাকে কোন দলে খুঁজে বের করব?

ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে ২০২৮ সালে (ইনশাল্লাহ)

ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় কোথায় এবং কবে ভেসে উঠবে? (২০২৩ সালে ইনশাল্লাহ)