সিরিয়া যুদ্ধের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত (তৃতীয় পর্ব)


হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমনের পূর্বে সিরিয়ায় বানু কাল্ব গোত্রের সুফিয়ানী বাদশা আত্মপ্রকাশ করবে। আর এই সুফিয়ানী বাহিনী সরাসরি ইমাম মাহদী (আঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। যদিও সুফিয়ানী তার প্রকৃত নাম নয়, তার আসল নাম হবে আজহার ইবনে কাল্ব, অথবা উসমান, যারা বংশ গত দিক থেকে বানু উমাইয়া গোত্রের আবু সুফিয়ানের বংশের লোক হবে। আর তাদের সহযোগিরা হবে বানু কাল্ব গোত্রের। অবশ্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার পিতা হাফিজ আল আসাদও কিন্তু বানু কাল্ব গোত্রের লোক, যাদেরকে আলাবী মুসলমান বলা হয়ে থাকে।
* হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, শাম (সিরিয়া) দেশে তিন ঝাণ্ডা বিশিষ্ট তিনজন লোক আত্মপ্রকাশ করবে। আসহাব , আবকা ও সুফিয়ানী ঝাণ্ডা।
আসহাব বের হবে মাশরিক (অর্থাৎ সিরিয়ার পূর্বাঞ্চল ইরাক) থেকে, আবকা বের হবে মিশর থেকে এবং সুফিয়ানী বের হবে শাম দেশ (সিরিয়া) থেকে। আর সুফিয়ানী তাদের উভয়ের উপর বিজয়ী হবে।
(নুয়াইম বিন হাম্মাদের আল ফিতানঃ হাদীস নং - ৮৪৫)
সিরিয়াতে যখন কালো পতাকাবাহী দলের মধ্যে মতবিরোধ চরম আকার ধারণ করবে তখন মিশরে হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতির আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তারা সিরিয়ায় এসে প্রথমে হোমস শহরকে ১৬ কিংবা ১৮ মাস অবরুদ্ধ করে রাখবে, তারপর তারা হোমস শহরটি বিজয় করতে  সক্ষম হবে। হোমস (Homs) শহরটির অবস্থান হল রাজধানী দামেস্কাস (Damascus) এর উত্তরে আর আলেপ্পো (Aleppo) শহরের দক্ষিণে। অর্থাৎ দামেস্কাস এবং আলেপ্পো শহরের মাঝখানে, এটি সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর । তারপর তারা যখন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কাস বিজয় করবে তখন দামেস্কাস শহরের আরম জনপদ ও বড় মসজিদের (অর্থাৎ বনি উমাইয়া মসজিদ, যে মসজিদে হযরত ঈসা (আঃ) অবতরণ করবেন) পশ্চিম পাশের দেয়াল ভূমিকম্পের কারণে বা, বড় ধরনের মিসাইলের আঘাতের কারনে ধ্বংসে পরবে। যার কারণে সেখানে ১ লক্ষ লোক নিহত হবে।
আসহাব জাতি হবে বনি হাশেম বংশের পরবর্তী প্রজন্মের সন্তানেরা। যারা সিরিয়ার পূর্বাংশ অর্থাৎ (দেইর আল জুর, হাসাকা, আবু কামাল, রাক্কা) নিয়ন্ত্রণ করবে। তারা আসবে মাশরিক অঞ্চল অর্থাৎ ইরাক ও খোরাসানের দিক থেকে। আর আবকা জাতি হবে উমাইয়া বংশের খলিফা মারওয়ানের বংশধর দের থেকে। আবকা জাতি আসবে মিশরের দিক থেকে। যারা সিরিয়ার পশ্চিমাংশ (অর্থাৎ হোমস, হামা, লাটাকিয়া দামেস্কাস শহর) নিয়ন্ত্রণ করবে।
হযরত আবু কাবিল (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, বনি হাশেম গোত্রের এক ব্যক্তি রাজত্বের মালিক হওয়ার সাথে সাথে বানি বানু উমাইয়া গোত্রের একজনকে হত্যা করবে। এভাবে চলতে চলতে সামান্য কিছু লোকজন বাকি থাকবে যাদেরকে হত্যা করা হবেনা।
হঠাৎ বনি উমাইয়া গোত্রের একজন রাজত্বের মালিক হওয়ার সাথে সাথে একজনের বিপরীতে দুইজন কে হত্যা করতে থাকবে। যার ফলে নারী ব্যতীত কোন পুরুষ লোক থাকবে না।
(নুয়াইম বিন হাম্মাদের আল ফিতানঃ হাদীস নং - ৮২১)
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, ইসলামিক ইস্টেট এর প্রধান আবু বকর আল বাগদাদী কিন্তু বংশগত দিক থেকে কুরাইশ বংশের লোক । আর কুরাইশ বংশ কিন্তু বনি হাশেম গোত্রের একটি শাখা।
আর আমরা সবাই জানি, আবু বকর আল বাগদাদী সিরিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই বাশার আল আসাদের পক্ষে যুদ্ধরত শিয়াদের বিরুদ্ধে মারমুখী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে,  যারা কিনা সুফিয়ানী বাহিনীর সমর্থক । সুতরাং আমরা একথা বলতেই পারি যে, ইসলামিক ইস্টেট এর পরবর্তী প্রজন্মের অনুসারীরাই হচ্ছে আসহাব জাতি। কারণ তাদের দলের প্রধান হচ্ছে বনি হাশেম গোত্রের লোক, আর তারা এসেছে মাশরিক অঞ্চল বা, পূর্বাঞ্চল (অর্থাৎ সিরিয়ার পূর্ব দিক) ইরাক থেকে।
"কিন্তু বর্তমানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বাহিনী যেভাবে ইসলামিক ইস্টেট ও HTS(তাহরির আল শাম) এবং আহরার আল শামের বিরুদ্ধে সকল এলাকায় বিজয়ী হচ্ছে অনেকের মনে হতে পারে, কবে আসহাব ও আবকা জাতি হোমস আর দামেস্কাস বিজয় করবে? "
আসল কথা হচ্ছে মিশরের নীল নদ যখন পানির অভাবে শুকিয়ে যাবে এবং মিশরের অর্থনীতি ভেঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে তখনই হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতি এবং তাদের সমর্থনকারী আমরিকান ও ইউরোপের বর্বর জাতি মিশরে এসে হাজির হবে এবং পরবর্তীতে তারা সিরিয়ায় এসে হাজির হবে।
মিশরের নীল নদ শুকিয়ে যাওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করতেছে ইথিওপিয়া  সরকার, তারা ৬.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করে নীল নদের উপর Grand Euthiopian Regiment Dam নামে পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম বাধ নির্মাণ করছে। ২০১১ সালে এই বাধ নির্মাণ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে শেষ হওয়ার থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০% শতাংশের মত কাজ শেষ হয়েছে। এই বাধ নির্মাণ সম্পন্ন হলে মিশরে নীল নদের পানি আসা বন্ধ হয়ে যাবে। কারন নীল নদের পানি আসে আফ্রিকার রুয়ান্ডা নদী থেকে ইথিওপিয়া ও সুদানের উপর দিয়ে মিশরে আসে । বর্তমানে মিশরের অর্থনীতির ৭০%- ৮০% আসে কৃষি খাত থেকে। আর মিশরের কৃষি খাত সম্পূর্ণ রূপে নীল নদের  নির্ভরশীল।
তাই আগামী ১০ বছর পর মিশরের ভবিষ্যৎ কি হবে তা একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।
যখন আসহাব জাতি (অর্থাৎ ইরাক আসা বাহিনী ) ও আবকা জাতি (মিশর থেকে আসা বাহিনী) মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করবে তখন দামেস্কাস এর দক্ষিণ দিক থেকে ওয়াদিউল ইয়াবেস (শুষ্ক উপত্যকা)  নামক যায়গা (অর্থাৎ দারা শহর) থেকে প্রথম সুফিয়ানী বের হবে। যে কিনা বংশগত দিক থেকে বানু কাল্ব গোত্রের লোক হবে। সে নিজেকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা দাবি করবে। যারা তাকে খলিফা মানতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের সবাইকে সে হত্যা করবে। প্রতি মাসে তার বাহিনীতে ৩০ হাজার লোক যোগদান করবে। আর আসহাব জাতি (ইরাক থেকে আসা বাহিনী ) ও আবকা জাতি (মিশর থেকে আসা বাহিনী) তার বিশাল সৈন্য দেখা মাত্রই পরাজিত হবে।
**বিশিষ্ট সাহাবী হযরত সুবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই এমন একজন খলিফার আবির্ভাব ঘটবে, লোকজন যার হাতে বাইয়াত গ্রহনে অস্বীকৃতি জানাবে । এবং তার নায়েব তার দুশমন হয়ে যাবে। যার কারণে একাকী পথ চলা ব্যাতিত তার কোন উপায় থাকবে না, অবশ্যই সে শাম দেশে বিজয়ী হবে। ইরাকবাসী তাকে ইবায় ফেরত নিতে চাইলে সে অস্বীকৃতি জানাবে।সে বলবে যুদ্ধের জন্য এটাই উপযুক্ত স্থান। যার কারণে ইরাকবাসী তাকে ছেড়ে চলে যাবে। এবং তার বিরুদ্ধে হিমসে সৈন্য সমাবেশ ঘটাবে।
(আল ফিতানঃ হাদীস নং - ৮৭২)

এই হাদীসের প্রথমাংশের সাথে ইতোমধ্যেই আমরা পরিচিত হয়ে গেছি, সিরিয়া যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসলামিক ইস্টেটের খলিফা আবু বকর আল বাগদাদী ও জাবাহাত আল নুসরার(বর্তমান HTS) আমির আবু মুহাম্মদ জাওলানী ছিলেন খুবই ঘনিষ্ঠ এবং তারা দুজন একত্রে বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। যখন আবু বকর আল বাগদাদী খিলাফতের ঘোষণা দিলেন তখনই আবু মুহাম্মদ জাওলানী তার শত্রু হয়ে গেলেন। হয়তো পরবর্তী সময়ে ইসলামিক ইস্টেট থেকে ইরাকবাসীও মতবিরোধে লিপ্ত হয়ে আলাদা হয়ে যাবে।
* হযরত ওযীন ইবনে আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, চতুর্থ ফিতনা মূলত রিক্কাহ (রাক্কা) থেকে শুরু হবে।
(আল ফিতানঃ হাদীস নং - ৮৬৮)
ইসলামিক ইস্টেট যখন রাক্কা বিজয় করল, এর পরই তারা খিলাফতের ঘোষণা দিয়েছে, যার ফলে জাবাহাত আল নুসরা (বর্তমান HTS) সহ সিরিয়ার সকল আসাদ বিরোধীদের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এবং পরবর্তীতে ইসলামিক ইস্টেট রাক্কা শহরকে তাদের খিলাফতের রাজধানী ঘোষণা করে।
আসহাব জাতি (অর্থাৎ ইরাক থেকে আসা বাহিনী ) ও হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতি (অর্থাৎ মিশর থেকে আসা বাহিনী ) এর পতনের পর অবশ্যই দেইর-আল-জুর এর নিকটবর্তী কিরকিসিয়া নামক স্থানে তুর্কি (তুরস্ক) এবং রোমান জাতি (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স জার্মানী) সাথে সুফিয়ানী বাহিনীর (বাশার আল আসাদের  পরবর্তী শিয়া শাসক) সাথে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড়ের দখলকে কেন্দ্র করে একটি মারাত্মক যুদ্ধ হবে। যে যুদ্ধে ১ লক্ষ কোন কোন মতে, ১ লক্ষ ৬০ হাজার লোক নিহত হবে।  
***হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“সেই পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না ফোরাত থেকে সোনার পাহাড় বের হবে। তার জন্য মানুষ যুদ্ধ করবে এবং প্রতি একশ জনে নিরানব্বই জন লোক মারা যাবে। যে কজন জীবনে রক্ষা পাবে, তারা প্রত্যেকে মনে করবে, বোধ হয় একা আমিই জীবিত আছি”।
(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২১৯)
অধিকাংশ মানুষ মনে করে ফোরাত নদী কেবল ইরাকে রয়েছে।  আসলে ফোরাত নদী তুরস্ক থেকে সিরিয়া হয়ে ইরাকে এসে শেষ হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক সরকার ফোরাত নদী উপর তুরস্ক সরকার Sanliurfa province এ Autaturk Baraji Dam নামে একটি বাধ নির্মাণ করে,  এর পর সিরিয়ার সরকার Raqqa Province এ Tabqa Dam নির্মাণ করার কারনে ফোরাত নদীর পানি দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। আর হাদীসে বলা হয়েছে ফোরাত নদীর পানি শুকিয়ে স্বর্নের পাহাড় আবিষ্কার হবে।
এখন প্রশ্ন সেই স্বর্নের পাহাড় কবে আবিষ্কার হবে?
***বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, চতুর্থ ফেতনা হল অন্ধকার অন্ধত্বপূর্ণ ফেতনা। যা সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় উত্তাল হয়ে আরব অনারব প্রত্যেকটি ঘরেই প্রবেশ করবে। এই ফেতনার দ্বারা তারা (মুসলমানরা) লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়ে যাবে। যে ফেতনাটি শাম দেশে (সিরিয়া) চক্কর দিতে থাকলেও রাত্রি যাপন করবে ইরাকে আর হাত পা দ্বারা আরব উপদ্বীপে (সৌদি আরব, দুবাই, কাতার, ওমান, বাহরাইন) নারা চারা করতে থাকবে। ফেতনাটি এতোই মারাত্মক আকার ধারণ করবে, যার কারণে মানুষ ভাল মন্দ কিছু বুঝতে পারবে না। একদিকে একটু শান্তির সুবাতাস আসলেও অন্য দিকে ফেতনাটি তীব্র আকার ধারণ করবে। আর কেউ এই ফেতনাটি থামানোর সাহস ও করবে না। এক পর্যায়ে সকলের কাছে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। **এই অবস্থা ১২বছর স্থায়ী থাকবে**। এরপর ফোরাত নদীতে স্বর্নের ব্রিজ প্রকাশ পাবে। যার কারনে সবাই এটি দখল করতে চাইবে এবং প্রতি ৯জনের ৭জন নিহত হয়ে যাবে।
(আল ফিতানঃ হাদীস নং ৬৭৬)
আল্লাহু আকবর, এই হাদীসে সিরিয়ার বর্তমান যুদ্ধের ১২ বছর পর (অর্থাৎ ২০২৩ সালের পর) ফোরাত নদীর তীরে স্বর্ণের পাহাড় সিরিয়ার দেইর আল জুর শহরের এর নিকটবর্তী কিরকিসিয়া নামক স্থানে ভেসে উঠবে।আর আসরে যুহুরী বইটিতে আল্লামা আলী আল কুরানী বলেছেন সিরিয়া যুদ্ধের ১৮ বছর পর (অর্থাৎ ২০২৯ সালের পর)  এই স্বর্নের পাহাড় টি ভেসে উঠবে তখন এটি দখলের জন্য তুরস্ক ও ন্যাটো বাহিনীর জোট কিরকিসিয়ার প্রান্তরে হাজির হবে আর তখনই বনি কাল্ব গোত্রের সুফিয়ানী বাহিনী অর্থাৎ ( বাশার আল আসাদের পরবর্তী শিয়া শাসক) তাদের কে প্রতিরোধ করার জন্য এগিয়ে যাবে। আর তখনই এই ভয়াবহ যুদ্ধটি হবে। হাদীসে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধে ১ লক্ষ বা, ১ লক্ষ ৬০ হাজার লোক নিহত হবে। আর নিহতের মধ্যে বেশিরভাগ তুরস্কের সেনাবাহিনীর সৈন্য থাকবে। আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে তুর্কিরা (তুরস্ক) দুইবার বের হয়ে আসবে একবার তারা ৭০০বছর মুসলিম বিশ্ব শাসন করেছিল আর দ্বিতীয় বার বের হয়ে আসবে কিরকিসিয়ার ময়দানে। আর কিরকিসিয়ার যুদ্ধের পর তুর্কিদের (তুরস্কের অভ্যন্তরে) নিজেদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হবে।যার কারণে তারা অস্তিত্ব সংকটে পরবে। এরপর আর কোন তুর্কি (তুরস্কের ক্ষমতা) থাকবে না।
কিরকিসিয়া যুদ্ধের পর প্রথম সুফিয়ানী ইরাকের কুফা নগরীতে আসহাব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য আসবেন। কিন্তু কুফা নগরীতে এসেই তিনি অসুস্থ হয়ে আবার সিরিয়ার দিকে ফেরত যাবেন এবং ইরাক সিরিয়ার বর্ডারে এসে মৃত্যু বরণ করবেন। তার পর পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক বেরিয়ে আসবে যাকে আসল সুফিয়ানী বলা হবে । আর তিনি কুফার গনহত্যাটি ঘটাবেন। আর দ্বিতীয় সুফিয়ানী ইমাম মাহদী আঃ এর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করবেন।
আসহাব জাতি অর্থাৎ (ইসলামিক ইস্টেট) কিরকিসিয়া যুদ্ধের পর ইরাকের কুফা নগরীতে যে বৃহৎ হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে, যার কারণে তাদের ৭০ হাজার কোন কোন মতে ১ লক্ষ লোক নিহত হবে। অবশ্য এর পূর্বে তারা বড় বড় ৭ যুদ্ধে সুফিয়ানী বাহিনীর কাছে পরাজিত হবে।
(চলবে............)

Popular posts from this blog

ইমাম মাহদী কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন? আমরা তাকে কোন দলে খুঁজে বের করব?

ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে ২০২৮ সালে (ইনশাল্লাহ)

ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় কোথায় এবং কবে ভেসে উঠবে? (২০২৩ সালে ইনশাল্লাহ)