কাহতানী বা, ইয়েমেনী খলিফা কে? কখন তার আবির্ভাব হবে?

আমাদের মুসলমানদের মধ্যে ইমাম মাহদী নিয়ে যতটা আলোচনা করা হয় সে তুলনায়, আরেকজন সম্মানিত কাহতানী বা, ইয়েমেনী খলিফা সম্পর্কে তেমন কিছুই আলোচনা করা হয় না। এমনকি আমাদের অনেক ভাই কাহতানী খলিফা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না? সাম্প্রতিক সময়ে আলী হাসান ওসামা ভাই আমার একটি লেখার সমালোচনা করতে গিয়ে কাহতানী খলিফা সম্পর্কে বর্নিত হাদীসগুলোকে জাল হাদিস পর্যন্ত বলেছেন? যদিও মাহদী এবং কাহতানী খলিফা দুজনেই মুসলমানদের খুব নাজুক পরিস্থিতিতে খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। খলিফা মাহদীকে সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালার অসীম কুদরতের মাধ্যমে সুফিয়ানী বাহিনীর থেকে হেফাজত করবেন এবং পুরো পৃথিবীকে তার কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবেন অপরদিকে, কাহতানী খলিফা অত্যচারী নিকৃষ্ট মাখজুমী বা, মুজারি খলিফাদের হটিয়ে বাইতুল মোকাদ্দাসের খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং সারাজীবন রোমান খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন এবং তাদের হাতেই শহীদ হবেন।

আমি ব্যাথিত হয়েছি, যখন দেখেছি শুধুমাত্র আলী হাসান ওসামা ভাই কাহতানী খলিফা সম্পর্কে বর্নিত হাদীসগুলোকে জাল হাদিস সাব্যস্ত করেছেন এমন নয়? এমনকি আমিরুজ্জামান নিয়ে গবেষণা করেন মুফতি কাজী ইব্রাহীম সাহেবের মত পন্ডিত ব্যক্তি পর্যন্ত বলেছেন, ১৯৭৯ সালে কাবা শরীফে যে মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল কাহতানী নামক যে ব্যক্তি নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করেছিলেন, তিনিই নাকি হাদীসে বর্ণিত কাহতানী ব্যক্তি? তাদের এরকম না জেনে সহীহ হাদীসকে জাল হাদিস সাব্যস্ত করা এবং অপব্যাখ্যা দেখে বাধ্য হয়ে কাহতানী খলিফা সম্পর্কে বিস্তারিত লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম।



⚫কাহতানী খলিফা সম্পর্কে সহীহ হাদীসঃ
_________________________________________

** হযরত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না কাহ্‌তান গোত্র থেকে এমন এক লোক বের হবে, যে মানুষকে লাঠি দিয়ে তাড়িয়ে দেবে"।

(সহিহ বুখারী, আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩২ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭২০০, বুলুগুল মারাম, হাদীস নং- ১৮৪৪)

** হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "আমার (মৃত্যুর) পর আসবে খিলাফত, তার পর আসবে রাজতন্ত্র, তারপর অত্যাচারী রাজার শাসন, তার পর আবার অত্যাচারী রাজার শাসন। তারপর আরেক অত্যাচারী ব্যাক্তির পর আমার বংশধর(ইমাম মাহদী) থেকে একজন আসবে। যিনি পৃথিবীকে ন্যায় বিচার দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিবেন। তার পর আসবে কাহতানী। এটা এরকম সত্য, যেমনি ভাবে আল্লাহ আমাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন, এর ব্যতিক্রম কখনো হবেনা"।

(তাবারানী, কানজুল উম্মাল, হাদিস নং - ৩৮৭০৪)

** মুহাম্মাদ ইবনু জুবায়ের ইবনু মুত্‘ঈম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর নিকট কুরাইশ প্রতিনিধিদের সাথে তার উপস্থিতিতে সংবাদ পৌঁছলো যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) বর্ণনা করেন, শীঘ্রই কাহতান বংশীয় জনৈক বাদশাহর আগমন ঘটবে। এতদশ্রবণে মু‘আবিয়াহ (রাঃ) ক্রুদ্ধ হয়ে খুত্বাহ দেয়ার উদ্দেশে দাঁড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য হামদ ও সানার পর তিনি বললেন, আমি জানতে পেরেছি, তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোক এমন সব কথাবার্তা বলতে শুরু করেছে যা আল্লাহর কিতাবে নেই এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হতেও বর্ণিত হয়নি। এরাই মূর্খ, এদের হতে সাবধান থাক এবং এমন কাল্পনিক ধারণা হতে সতর্ক থাক যা ধারণা কারীকে বিপথগামী করে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে আমি বলতে শুনেছি যে, যত দিন তারা দ্বীন কায়েমে লেগে থাকবে তত দিন খিলাফত ও শাসন ক্ষমতা কুরাইশদের হাতেই থাকবে, যারাই তাদের সাথে শত্রুতা করবে আল্লাহ্ তাকে অধপতনের মুখে নিক্ষেপ করবেন।

(সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৭১৩৯, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৪৮)

বিঃদ্রঃ কিয়ামত পর্যন্ত খিলাফত ও শাসন ক্ষমতা কুরাইশদের অধিনে থাকবে এবং কাহতানী খলিফা উত্থান এই দুটি আলাদা কোন বিষয় নয়। এই কাহতানী খলিফা পিতার বংশের দিক থেকে কুরাইশী হবেন আর মায়ের দিক থেকে ইয়েমেনী হবেন। মূলতঃ তিনি কুরাইশ বংশের বনু মাখযুমের বাদশাহকে পরাজিত করে বাইতুল মোকাদ্দাসে খিলাফতে অধিষ্ঠিত হবেন, এবং কুরাইশ বংশের বনু মাখযুমের সবাইকে হত্যা করবেন। তাই তাকে আলাদা করে কাহতানী খলিফা বা, ইয়েমেনী খলিফা বলা হয়েছে।


** হযরত আব্দুর রহমান ইবনে কায়স ইবনে জাবের আস সাদাফী (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, অতিসত্ত্বর আহলে বায়তের একজন লোক(মাহদী) খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করবে, তিনি গোটা পৃথিবীকে ইনসাফে পরিপূর্ণ করে দিবেন, যা ইতিপূর্বে জুলুম-নির্যাতনে পরিপূর্ণ ছিল। এরপর জনৈক কাহতানী আমীর নিযুক্ত হবে, কসম সে সত্ত্বার যিনি আমাকে হক্ব সহকারে পাঠিয়েছেন, উক্ত কাহতানীর পূর্বের শাসক খুবই নিম্নমানের হয়ে থাকবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৪৬ ]




⚫ কাহতানী গোত্র কারা? কিভাবে তাদের উৎপত্তি হয়েছে?
_____________________________________________

আরবের ঐতিহ্য অনুযায়ী আরব জাতি তিন ভাগে বিভক্ত ছিল। যথা- আরব আল বায়দা , আরব আরিবা (বানু কাহ্তান গোত্র এই শাখার অন্তর্ভুক্ত) এবং আরব আল মুস্তারিবা। আরবের প্রাচীন অধিবাসীদের 'আরব আল বায়দা' বলা হয়, 'বায়দা' বা বাদিয়া অর্থ জঙ্গল, আরব আল বাদিয়াদেরকে বেদুঈন জাতিও বলা হয়ে থাকে। পূর্বে ধ্বংসপ্রাপ্ত 'আদ', 'সামুদ' (তাহমুদ), 'যাদি' প্রভৃতি প্রাচীন আরব গোত্র 'আরব আল বায়দা' শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। আরবের পরবর্তী জাতিগুলোর আবির্ভাবের ফলে এ সব গোত্র বিলুপ্ত হয়। বানু কাহ্তান হলো আরবের দ্বিতীয় জাতি, দক্ষিণ আরবের অধিবাসীরা কাহ্তানের বংশধর, তারা ইয়েমেন বা দক্ষিণ আরবে বাস করতেন বলে তাদেরকে হিমাইরীয় বা ইয়েমেনীয় নামেও অভিহিত করা হয়। দক্ষিণ আরবের হিমইয়ার বা, কাহতান রাজবংশের লোকজন খ্রিস্টপূর্ব ১১০ সাল থেকে ৫২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ৬৩৫ বছর দক্ষিণ আরবের বর্তমান ইয়েমেন ওমান ও দক্ষিণ সৌদি আরবের কিছু অঞ্চল শাসন করত। তাদের মধ্যে তুব্বা আবু কারিব আসাদ (৩৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৪২০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত) ৩০ বছর সানা, হাজরামাউত থেকে মদীনা পর্যন্ত বিশাল এলাকা তার কতৃত্বে ছিল, তিনিই হিমইয়ার রাজবংশের মধ্যে প্রথম ব্যাক্তি যিনি ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, এবং তিনিই সর্বপ্রথম কাবা শরীফের গিলাফ পরিধান করান, যা এখন পর্যন্ত চালু রয়েছে। একসময় তাদের অবস্থা দূর্বল হলে আবিসিনিয়ান রাজা নাজ্জাসীর সেনাপতি জালেম আবরাহা যিনি কাবা শরীফকে ধ্বংস করার জন্য হাতি ওয়ালা বাহিনী নিয়ে উদ্ধত হয়েছিলেন, তিনি তাদেরকে পরাজিত করে ইয়েমেন দখল করে নেয়। এছাড়াও বিখ্যাত সাহাবী হযরত আবু মুসা আল আশআরী (রাঃ) ছিলেন বনু কাহতান গোত্রের লোক। হাদীসে বলা হয়েছে কিয়ামতের পূর্বে একসময় কুরাইশ বংশের মাখজুমী খলিফাদের পরাজিত করে তারা আবার রাজত্ব কায়েম করবে।

** হযরত যু মিখবার (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বটি মূলতঃ হিমইয়ার (ইয়েমেনীদের) গোত্রের কাছে ছিল, পরবর্তীতে তাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে কুরাইশদের হাতে অর্পণ করা হয়, তবে কিছু দিনের মধ্যে সেটা আবার তাদের কাছে ফিরে যাবে।

(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৫৪)



⚫ কাহতানী খলিফার আবির্ভাবের পূর্বের অবস্থা?
____________________________________________

মাহদীর রাজত্ব সাত, আট বা নয় বছর পর্যন্ত থাকবে, মাহদীর পর আর কোন কল্যাণ থাকবে না। [মুসনাদ আহমদ] নিঃসন্দেহে মাহদী মৃত্যুবরণ করলে মানুষের মাঝে ব্যাপক গনহত্যা দেখা দিবে, একে অপরকে হত্যা করবে, অনারবদের জয়জয়কার হবে এবং ভয়াবহ যুদ্ধ-বিগ্রহ প্রকাশ পাবে, মানুষের মধ্যে কোনো শৃঙ্খলা এবং একতাবদ্ধতা থাকবেনা [১১৩৪] পূনরায় লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ বিগ্রহ লিপ্ত হবে এবং অনেক মানুষ নিহত হবে [১১৩৫,৩৬] তখন কুরাইশ বংশের শাখা বনু মাখজুমের একব্যাক্তি নিজের জন্য খিলাফতের বাইয়াত গ্রহণ করবে [১১৩৬] মাখজুমী বা, মুজার বংশের একজন নিকৃষ্ট বাদশাহ জেরুজালেমের বাদশাহ হবেন, যিনি মানুষকে কুফুরীর দিকে দাওয়াত দিবেন [১১৩৫] ঐ বাদশাহ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করতে থাকবেন, শেষ সময়ে এসে তা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করে নিবেন। তিনি এবং তার সাথে থাকা লোকজন দূর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক হবে, তাদের পরিত্যক্ত সম্পদ হবে সকল মুসলমানের সম্পদ সমপরিমাণ। সে প্রসিদ্ধ সুন্নাতগুলোকে রহিত করে নতুন এমন কিছু বিদআতের আহবান জানাবে যা ইতিপূর্বে ছিলনা, যিনা ব্যাপকতা লাভ করবে এবং প্রকাশ্যভাবে শরাব পান করা হবে। [১১৬৪] মাখজুমী বাদশাহ ও তার সাথীরা মদ্যপান করে টালমাটাল হওয়া চাকার ন্যায় বাইতুল মোকাদ্দাসে মাতাল হয়ে ঘুরবে। [১১৩৬] মাখজুমী লোকটি ইয়ামানবাসীদের কে তাদের এলাকা থেকে বের করে দিবে। [১১৫৮] তার মেয়ে ও স্ত্রীদের এমন পোষাক পরবে যা তার লজ্জাস্থানের পশম পর্যন্ত দেখা যাবে, এরকম অশ্লীল পোশাক পরে বাজারে ঘুরাফেরা করতে থাকবে, জেরুজালেমের চারপাশে ঘুরবে। কেউ তাদের এরকম জুলুম, নির্যাতন, বেহায়াপনা ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হবে। [১১৬৫] তাদের এরূপ কার্যকলাপ দেখে লোকজন বলবে এ যুদ্ধ মূলতঃ কুরাইশদের সাথে সম্পৃক্ত, তাই কুরাইশদেরকে হত্যা করলে তোমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। [১১৫২] তখন মুসলমানরা তার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করবে এবং তার সাথীবর্গসহ তাকে হত্যা করা হবে, গোপনে পলায়নকারী ব্যতীত কেউ বাঁচতে পারবেনা, কুরাইশ বংশের সবাইকে হত্যা করা হবে, তখন হাজারো তালাশ করেও একজন কুরাইশ বংশের লোক পাওয়া যাবেনা [১১৩৬] তখন প্রত্যেক কুরাইশীকে এমনভাবে হত্যা করা হবে যে, ঐসময় কোনো এলাকার মাটি খুঁড়তে গিয়ে জুতা পাওয়া গেলে বলা হবে এটা কুরাইশীদের জুতা। [১১৫৬ ] তখন এমনকি মক্কা-মদীনাসহ পৃথিবীর কোথাও কোনো কুরাইশ বংশের লোক তালাশ করে পাওয়া যাবেনা। [১১৫৭] যখন ইয়ামানী খলিফা ক্ষমতায় বসবে, তখন বায়তুল মোকাদ্দাস এলাকায় অসংখ্যা কুরাইশীকে হত্যা করা হবে। [১১৫৩ ] ঐ ইয়ামানী খলীফা এক সময় তিনি সমাজের গোত্রপতি ছিলেন, তারা ঐসব লোক যারা একসময় বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তিনি প্রাচীন বাদশাহর তুব্বার বংশধর। [১১৭২] উক্ত ইয়ামানী খলীফার নেতৃত্বে কুস্তুনতুনিয়া (ইস্তাম্বুল)এবং রোমানদের এলাকা বিজয় হবে, তার যুগে দাজ্জালে আবির্ভাব হবে এবং হযরত ঈসা (আঃ) আগমন করবেন। তার আমলে ভারতের যুদ্ধ সংগঠিত হবে। [১২৩৮] তিনি দীর্ঘ ২০ বৎসর পর্যন্ত শাসক হিসেবে থাকার পর, তাকে অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হবে। [১২৩৪]



⚫ কাহতানী খলিফা কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন?
_____________________________________________

যেহেতু কাহতানী আরবরা জাজিরাতুল আরবের দক্ষিণে বসবাস করে, তাই তিনি জন্মগ্রহণ করবেন দক্ষিণ আরবের কোথাও, এছাড়াও কোন কোন হাদীসে তাকে ইয়েমেনী খলিফা বলা হয়েছে, তার মানে তিনি ইয়েমেনে জন্মগ্রহণ করবেন এবং ইয়েমেনের কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন? সেটিও হাদিসে রয়েছে।

** হযরত আবু আব্দুল্লাহ নুআঈম (রহঃ) বলেন, তিনি একলা(ইয়াকলা) নামক এক গ্রাম থেকে বের হয়ে আসবেন, যে গ্রামটি সানা নামক শহর থেকে এক মারহালা পিছনে অবস্থিত, তার পিতা কুরাশি হলেও মাতা হবেন ইয়ামানী।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৭ ]


[নোটঃ ইয়াকলা বা, এলাকা গ্রামটি ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে দক্ষিণ দিকে আল আরশ বা, আরিশ জেলার রাদাআ (Radaa) এর নিকটে অবস্থা,
ইয়াকলা গ্রাম থেকে রাজধানী সানা এর দূরত্ব প্রায় দুইশত কিঃমিঃ]

** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হে ইয়ামান জাতিরা! তোমরা বলে থাক যে, নিঃ সন্দেহে মানসুর তোমাদের দলভুক্ত। কসম সে সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ! মানসূরের পিতা কুরাইশী। ইচ্ছা করলে আমি তার ও তার বংশের লোকজনের নাম বলে দিতে পারব।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৪৫ ]

হাদীসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তিনি কাহতানী খলিফা হলেও, তার পিতা হবেন কুরাইশ বংশের এবং মা হবেন ইয়েমেনী বা, কাহতানী বংশের। অর্থাৎ কাহতানী খলিফা তিনি মায়ের বংশের মাধ্যমেই পরিচিত হবেন। সুতরাং যেসকল হাদীসে বলা হয়েছে, কিয়ামত পর্যন্ত খিলাফতের দায়িত্ব কুরাইশদের অধিনে থাকবে, সেটিও কাহতানী খলিফার সাথে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দুটি হাদীসেই কোনভাবেই পরস্পরবিরোধী নয়।


⚫ কিভাবে তার উত্থান হবে?
__________________________

মাহদীর মৃত্যুর পর (মুজার বংশের) এমন একজন শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবেন, যিনি ইয়েমেন বাসীদেরকে তাদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করে দিবেন। অতঃপর (ইয়েমেনী) খলিফা মনসুর ক্ষমতার মালিক হবেন [১১৮৬] ঐ (মুজার বংশের) শাসকের যুগে ভুমিকম্প, বিকৃতি, ধ্বসে যাওয়া সহ সবধরনের গজব আসবে [১১৬৬] তখন কুরাইশ বংশের বনু মাখযুমের অত্যাচারী বাদশাহদের সহযোগী হবে বনু কুজায়া গোত্র, বনু কায়েস গোত্র এবং ঐ সময় মিশরে কুরাইশ বংশের বনু ওমাইয়া গোত্রের একজন শাসক ১২ বছর মিশরের গভর্নর থাকবে, একপর্যায়ে তিনি মুসলিমদের তোপের মুখে ইউরোপে পালিয়ে যাবেন। এমনকি তখন বর্তমান সৌদ রাজ বংশের মত ইউরোপের ক্রুসেডারদের সাথে তাদের ভালো সখ্যতা থাকবে। তখন কুরাইশ বংশের বনু মাখযুমের এসব অত্যাচারী বাদশাহদের শত্রু হবেন ইয়েমেনীরা, বনু ইসমাইল (আরবরা) , পারস্যবাসীরা এবং মাওয়ালীরা (নতুন ধর্মান্তরিত মুসলিমরা)। ইয়েমেনীদেরকে জেরুজালেম থেকে বের করে লাখাম ও জুদাম (বর্তমান ইরাকের আনবার প্রদেশ ও সৌদি আরবের উত্তর এলাকায়) অবস্থান নিবে, পারস্যবাসীরা এন্টাকিয়াতে (তুরস্কের হাতায়া প্রদেশে) অবস্থান নিবে [১১৭৩] এমন মুহূর্তে হঠাৎ আসমান থেকে একটি গায়েবী আওয়াজ আসবে? যা কোনো মানুষ কিংবা জ্বিনের কণ্ঠ থাকবেনা। সে বলবে ‘তোমরা অমুকের (মনসুরের) হাতে বায়আত গ্রহণ করো, তোমরা হিজরতের পর পূনরায় পিছনে ফিরে যাবেনা, তারা সকলে এদিক ওদিক দৃষ্টি দিয়ে কাউকে দেখতে পাবে না, এভাবে তিনবার গায়েবী আওয়াজ আসলে, তারা সকলে মানসূরের হাতে বায়আত গ্রহণ করবে। [১১৩৬,৭০,৭১] তারপর সবাই মিলে কুরাইশ বংশের ঐ (মাখজুমী) বাদশাহকে হত্যা করবে, এমনকি তখন পুরো পৃথিবীতে খুঁজেও কুরাইশ বংশের একজন লোক পাওয়া যাবেনা[১১৫৭] কাহতানীর রাজত্বকালীন সময়ে হিমইয়ার (ইয়েমেনে) ও হিমস (সিরিয়ার হোমস) নগরীতে তীব্র যুদ্ধ সংগঠিত হবে।[১২৪০] তখন বনু কায়েস ও কুজায়া গোত্র মুজার/মাখজুমী খলিফার পক্ষে ইয়েমেনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হোমস নগরীতে প্রবেশ করবে এবং ইয়েমেনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ধ্বংস হয়ে যাবে[১২৪১]



⚫ কাহতানী খলিফার শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্যঃ
_____________________________________________

১, তিনি হবেন দুই কান ছিদ্র বিশিষ্ট। [১২৩৪]

২, তার কপাল থাকবে বাকা প্রকৃতির।

৩, তিনি সকল মুসলমানদের কে পূনরায় ঐক্যবদ্ধ করবেন।

৪, তিনি হবেন কঠোর প্রকৃতির মানুষ।

৫, তিনি রোমান খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ২০ বছর যুদ্ধের নেতৃত্ব দিবেন। [১২৯৯]

৬, তিনি রোমানদের হাত থেকে অনেক গুলো মুসলমানদের ভূমি পূনরায় উদ্ধার করবেন।


৭, তার হাতে বাইয়াত নেয়ার জন্য আকাশ থেকে গায়েবি আওয়াজ আসবে। [১১৩৬]

৮, তার চরিত্র মাহদীর চরিত্রের ন্যায় হবে। [১২৩৪]

৯, হাদীসে বর্ণিত হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যু্দ্ধ তার সময়েই হবে। [১২৩৮]

১০, তিনিই বাইতুল মোকাদ্দাস থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সৈন্য বাহিনী প্রেরন করবেন। [১২৩৫]


বিঃদ্রঃ যারা গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে সবসময় ফেন্টাসিতে ভোগান্তিতে থাকেন, কোন কিছু দেখলেই এই বুঝি গাজওয়াতুল হিন্দ শুরু হয়ে গেল? তাদের উচিত উল্টাপাল্টা বিশ্লেষণ বাদ দিয়ে, বেশি বেশি কাহতানী বা, ইয়েমেনী খলিফা নিয়ে গবেষণা করা। কারন, কাহতানী খলিফাই হচ্ছেন হিন্দুস্তানের যুদ্ধের নির্দেশ দাতা ও বাইতুল মোকাদ্দাস থেকে সৈন্য বাহিনী প্রেরনকারী।


⚫ কাহতানী খলিফার কত বছর রাজত্ব করবেন?
_____________________________________________

** হযরত আরতাত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, মাহদির মৃত্যুবরণ করার পর কাহতান গোত্রের উভয় কান ছিদ্রবিশিষ্ট একজন লোক শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবে, তার চরিত্র হবে হুবহু মাহদীর মত হবে, তিনি দীর্ঘ ২০ বৎসর পর্যন্ত শাসক হিসেবে থাকার পর, তাকে অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বংশধর থেকে জনৈক লোকের আত্মপ্রকাশ হবে, যিনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী হবেন, তার হাতে কায়সার সম্রাটের শহর(ইউরোপ) বিজয় হবে। তিনিই হবেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উম্মতের মধ্যে সর্বশেষ খলীফা বা বাদশাহ, তার যুগে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং সায়্যিদুনা হযরত ঈসা (আঃ) আসমান থেকে অবতরণ করবেন।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৪ ]


** হযরত সুলাইমান ইবনে ঈসা (রহঃ) থেকে বর্নিত, মাহদী দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত বাইতুল মোকাদ্দাসের নেতৃত্ব দিয়ে মৃত্যু বরণ করবেন, তার মৃত্যুর পর মানযুর (কহতানী খলিফা) নামে আরেক সম্মানিত লোক আমীরের দায়িত্ব পালন করবে, এবং তিনি হবেন তুব্বা বাদশাহর বংশধরদের একজন। তিনি দীর্ঘ ২১ বছর যাবত বাইতুল মোকাদ্দাসের নেতৃত্ব দিলেও ১৫ বছর খুব ভালো ভাবে ইনসাফ পূর্ন আচরণ করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিন বছর মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করতে থাকবে এবং তার পরবর্তী তিন বছর দূর্নীতি করতে থাকবে এবং কাউকে এক দিরহামও দিবে না, জিম্মিদেরকে তার সৈন্যদের মধ্যে বন্টন করে দিবেন। (প্রথম অংশ উল্লেখ করা হল)

[আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৮১]




⚫ ইয়েমেনী খলিফাদের নাম ও সংখ্যাঃ
____________________________________

** হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, মানসুর হিমইয়ার ১৫ জন খলিফার মধ্য থেকে পঞ্চম খলিফা হবেন "।

(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২১০)

অর্থাৎ ইয়েমেনী বা, হিমইয়ার বা, কাহতানী খলিফাদের সর্বমোট সংখ্যা ১৫ জন এবং খলিফা মানসুর হলেন এদের মধ্যে ৫ম খলিফা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের নাম হাদীস থেকে আমরা জানতে পেরেছি আল জাবের, আল মুকরাহ,যুল আসাব, মানসুর, আস্বাইগ ইবনে ইয়াজিদ/সালেহ/মুহাম্মদ। এমনকি এই উম্মতের শেষ খলিফাও হবেন একজন ইয়েমেনী বংশোদ্ভূত হাশেমী খলিফা[১১৮৫] তার হাতেই কনোসটেন্টিনোপোল ও ইউরোপ বিজয় হবে এবং তার পেছনেই হযরত ঈসা (আঃ) নামাজ আদায় করবেন।


** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, তিনজন আমির ধারাবাহিক ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবেন। তাদের হাতে অনেকশ্ব,ঔ এলাকা বিজয় হবে, উক্ত খলিফাদের প্রত্যেকজন হবেন খুবই সৎ। তাদের একজন হবেন আল জাবের, আরেকজন হবেন আল মুকরাহ তৃতীয়জন হবেন যুল আসাব। তিনজন মোট ৪০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। এই তিনজনের মৃত্যুর পর পৃথিবীতে আর কোন কল্যাণ থাকবে না। সকল কল্যাণ যেন তাদের সাথেই দূর হয়ে যাবে।


(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৭৭)



⚫ কিভাবে তিনি মৃত্যুবরণ করবেন?
_________________________________

** হযরত কাব (রহঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, খলিফা মানসূর মাহদী মৃত্যুবরন করার পর আসমান ও জমিনের অধিবাসী এবং আসমানের পশু পাখি তার জানাযায় শরীক হবে এবং দোয়া করবে। তিনি রোম বাসিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ বিশ বৎসর পর্যন্ত যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন এবং ভয়াবহ এক যুদ্ধে শাহাদাত বরন করবেন, ঐ যুদ্ধে তিনি এবং তার সাথে থাকা আরো দুই হাজারের মত সৈনিক শাহাদাত বরন করবেন, তাদের প্রত্যেকে আমীর এবং ঝান্ডাবাহী। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পর মুসলমানগন এত মারাত্নক মসিবতে কখনো সম্মুখিন হয়নি।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৯৯ ]


উল্লেখ্য ১২৫৮ সালে হালাকু খানের মঙ্গোলিয়ান বাহিনী যখন আব্বাসীয় খিলাফতের রাজধানী ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং ২০ লক্ষ মুসলমানদের সাথে খলিফা মুস্তাসিম বিল্লাহ কেও হত্যা করেছিল। তখন কিন্তু শুধুমাত্র এশিয়া মাইনর ও আব্বাসীয় খিলাফতের এলাকা ইরাক ও সিরিয়ার বেশিরভাগ শহরগুলো তারা দখল করে মুসলমানদের উপর গনহত্যা চালিয়েছিল। তখনও কিন্তু আল্লাহ তায়ালা জাজিরাতুল আরব, ইয়েমেন, আনাতুলিয়া, মিশর ও হিন্দুস্তানের মুসলিমদের নিরাপদ রেখেছিলেন এবং আল্লাহ তায়ালা সেলজুকদের দ্বারা তাতারদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় প্রদান করেছিলেন। এছাড়াও মধ্যযুগে স্পেনে , ফিলিস্তিনে ক্রুসেডারদের দ্বারা মুসলিমদের উপর গনহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। তখন কিন্তু অটোম্যান সাম্রাজ্যের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের বিজয় প্রদান করেছিলেন। এমনকি বর্তমান যুগেও ক্রুসেডার এবং শিয়াদের দ্বারা ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, মালি, সোমালিয়া, আফগানিস্তান ও হিন্দু/বৌদ্ধদের দ্বারা কাশ্মীর, আরাকান, জিংজিয়াং গনহত্যা সংঘটিত হচ্ছে, কিন্তু এখনও জাজিরাতুল আরব, তুরস্ক, মধ্য এশিয়া, আফ্রিকা ও উপমহাদেশের মুসলমানদের এখন পর্যন্ত নিরাপদ রেখেছেন এবং খুব শীঘ্রই আল্লাহ তায়ালা মাহদীর মাধ্যমে মুসলিমদের বিজয় প্রদান করবেন এবং তিনি জেরুজালেম থেকে বিশ্ব পরিচালনা করবেন। কিন্তু যখন মুসলিমদের সংখ্যা হবে মাত্র কয়েক লক্ষ, মুসলিমদের বিচরণ বলতে থাকবে শুধু মধ্যপ্রচ্যে ও উত্তর আফ্রিকায়, দেশ বলতে থাকবে শুধু একটা, রাজধানী থাকবে শুধু জেরুজালেম। যদি সেই ক্রুসেডাররা জেরুজালেমকে ধ্বংস করে দেয় এবং খলিফা ও তার সাথীদেরকে হত্যা করে ফেলে, তখন মুসলিমদের কি করুন অবস্থা হবে? এরকম ভয়াবহ বিপদের পরেই কিন্তু আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদেরকে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে বিজয় দান করবেন, এরপরেই কিন্তু কনিসটেন্টিনোপোল ও ইউরোপ বিজয় হবে। সুতরাং বর্তমানে মুসলিমদের উপর যে ভয়াবহ বিপদ আপদ অতিবাহিত হচ্ছে, এর পরেই কিন্তু আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করবেন, সুতরাং ভয় পাওয়ার কিছুই নেই, ধৈর্য ধরে আল্লাহর উপর ভরসা করাই মুসলিমদের একমাত্র কাজ। হতাশ হওয়া, নিরুৎসাহিত হওয়া, ভেঙ্গে পরা এগুলো কাপুরুষদের কাজ কোন মুসলমানের কাজ নয়।


[বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলে শুধু মাত্র কিতাবুল ফিতান থেকে হাদীসের রেফারেন্স দিতে গিয়ে শুধুমাত্র হাদীসের নম্বর গুলো উল্লেখ করা হয়েছে]


⚫ সতর্কবার্তাঃ
_______________

আমার লেখা পড়ে কেউ আলী হাসান ওসামা ভাই কিংবা মুফতি কাজী ইব্রাহীম সাহেবকে নিয়ে কেউ কোন রকম বাজে মন্তব্য করবেন না। মনে রাখতে হবে? তারাও মানুষ, তাদেরও ভূল ত্রুটি হতে পারে, হয়তো আলী হাসান ওসামা ভাই কিংবা মুফতি কাজী ইব্রাহীম সাহেব কাহতানী খলিফা সংক্রান্ত সবগুলো হাদীস নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেন নি। তাই তাদের ভূল গুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।


Popular posts from this blog

ইমাম মাহদী কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন? আমরা তাকে কোন দলে খুঁজে বের করব?

ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে ২০২৮ সালে (ইনশাল্লাহ)

ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় কোথায় এবং কবে ভেসে উঠবে? (২০২৩ সালে ইনশাল্লাহ)