Posts

কাহতানী বা, ইয়েমেনী খলিফা কে? কখন তার আবির্ভাব হবে?

আমাদের মুসলমানদের মধ্যে ইমাম মাহদী নিয়ে যতটা আলোচনা করা হয় সে তুলনায়, আরেকজন সম্মানিত কাহতানী বা, ইয়েমেনী খলিফা সম্পর্কে তেমন কিছুই আলোচনা করা হয় না। এমনকি আমাদের অনেক ভাই কাহতানী খলিফা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না? সাম্প্রতিক সময়ে আলী হাসান ওসামা ভাই আমার একটি লেখার সমালোচনা করতে গিয়ে কাহতানী খলিফা সম্পর্কে বর্নিত হাদীসগুলোকে জাল হাদিস পর্যন্ত বলেছেন? যদিও মাহদী এবং কাহতানী খলিফা দুজনেই মুসলমানদের খুব নাজুক পরিস্থিতিতে খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। খলিফা মাহদীকে সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালার অসীম কুদরতের মাধ্যমে সুফিয়ানী বাহিনীর থেকে হেফাজত করবেন এবং পুরো পৃথিবীকে তার কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবেন অপরদিকে, কাহতানী খলিফা অত্যচারী নিকৃষ্ট মাখজুমী বা, মুজারি খলিফাদের হটিয়ে বাইতুল মোকাদ্দাসের খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং সারাজীবন রোমান খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন এবং তাদের হাতেই শহীদ হবেন। আমি ব্যাথিত হয়েছি, যখন দেখেছি শুধুমাত্র আলী হাসান ওসামা ভাই কাহতানী খলিফা সম্পর্কে বর্নিত হাদীসগুলোকে জাল হাদিস সাব্যস্ত করেছেন এমন নয়? এমনকি আমিরুজ্জামান নিয়ে গবেষণা করেন মুফতি কাজী

খলিফা মাহদীর আবির্ভাবের বাস্তব চিত্র কেমন হবে? (ব্যঙ্গচিত্র)

আমরা সবাই অপেক্ষা করছি, কবে খলিফাতুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ এর আবির্ভাব হবে? কারন তার আবির্ভাব মানেই মুসলিমদের সুদিন ফিরে আসা, তার আবির্ভাবের পরেই মুসলিমদের কথায় উঠবে বসবে পৃথিবীর বড় বড় মোড়লরা, মুসলিমরা ফিরে পাবে হারানো রাজ্যক্ষমতা। আমরা মুসলিমরা ধরেই নিয়েছি আমরা ফেসবুকে অথবা, টেলিভিশনের পর্দায় আর কয়েক বছর পরেই দেখতে পাব মক্কায় হজ্জের সময় খলিফা মাহদীর উত্থান হয়েছে, তখন আমরা টেলিভিশনের সামনে বসে সাকিব আল হাসানের ছক্কা মারার পর যেভাবে ইয়াহুউউ বলে জয়ধ্বনি দেই, ঠিক তেমনি করে মাহদীর উত্থানের পর জয়ধ্বনি দিব এবং সাথে সাথে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ করব। যদি আপনি এরকমই মনে করে থাকেন, তাহলে একটু নড়েচড়ে বসুন, করন আজকে আপনার জন্যই কিছু তিক্ত কথা শেয়ার করব, এগুলো হজম করার জন্য প্রস্তুত হন। ইমাম মাহদী সে তো একজন ভয়ংকর জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও টেরোরিস্ট লিডার, আরে এটা তো দ্বিতীয় লাদেন??? তার অনুসারীরা হজ্জের সময় নিরপরাধ হাজীদের হত্যা করে পুরো মিনার প্রান্তরে রক্তের বন্যা বয়ে দিয়েছে? তারপর নিজেদের জীবন বাঁচাতে পবিত্র মসজিদুল হারামে আশ্রয় নিয়েছে! তারা মক্কার

সিরিয়া নিয়ে দুবাই ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন জায়েদের নতুন কুটনীতিঃ

মিডিয়াতে হয়তো আমরা সৌদি আরবের প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানকে দেখে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি মনে করি। কিন্তু পর্দার অন্তরালে মধ্যপ্রাচ্যের সবকিছুর কলকাঠি নাড়ছেন অন্য আরেকজন, তিনি হচ্ছেন দুবাই ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন জায়েদ(MBZ) মূলত তাকেই বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের আসল ডন। ইয়েমেনের যুদ্ধ, খলিফা হাতফারের ত্রিপোলি অভিযান, সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত, কাতার অবরোধ, মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত সবখানেই রয়েছে মুহাম্মদ বিন জায়েদের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ। নতুন করে সিরিয়া নিয়ে MBZ আবার কুটনীতি শুরু করেছেন। কি তার কুটনীতি? এটা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ⚫ কে এই মুহাম্মদ বিন জায়েদ? New York Times মুহাম্মদ বিন জায়েদকে নিয়ে ২ জুন ২০১৯ "The most powerful Arab ruler isn't MBS it's MBZ" নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তাকে আরব বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং ধনী ব্যক্তি বলা হয়েছে। তার নিয়ন্ত্রিত দুবাই ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির সম্পদের পরিমাণ ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার, একই সাথে বলা হয়েছে তিনি হচ্ছেন পুরো বিশ্বের সবচেয়ে ধ

হিটলার, জামাল আবদেন নাসের, আনোয়ার সাদাত, সুফিয়ানী, মাহদী ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আশ্চর্য একটি হাদীস।

** হযরত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, শেষ যমানায় পুরো পৃথিবী ব্যাপী একটি যুদ্ধ হবে। এটা হবে দুইটি বড় যুদ্ধের পর তৃতীয় যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধে অনেক মানুষ ধ্বংস হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে ব্যাক্তি আগুন জ্বালিয়ে দিবে সেই হবে মহান নেতা। হিজরী ১৩ শতাব্দীর কয়েক দশক পর গ্রীক রাজা সমগ্র বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধ করবেন এবং আল্লাহ তায়ালা তাকে যুদ্ধের নির্দেশ দিবেন। এর দুই দশক পর জার্মান ভূমি থেকে বিড়ালের নামের সাথে মিল রয়েছে এরকম একজনের (হিটলার) আবির্ভাব হবে। সে রোমানদের বিপক্ষে চাবুক নিয়ে হাজির হবে এবং লোকজনের নির্যাতন করা শুরু করবে এবং পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে। সে সমগ্র বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধ শুরু করবে, এমনকি উষ্ণ অঞ্চল (আফ্রিকার সাহারা মরু) ও শীতল (রাশিয়ার সাইবেরিয়া) অঞ্চলেও যুদ্ধ করবে। সে যখন যুদ্ধক্ষেত্রকে আগুন দ্বারা পরিপূর্ণ করবেন, আর তখনই সে আল্লাহ তায়ালার শাস্তির মুখোমুখি হবে, সে রাশিয়ান গুপ্ত ঘাতক দ্বারা খুন হবে। তারপর হিজরী ১৩ শতাব্দীর সাথে আরো পাঁচ, ছয়, সাত, আট দশক গণনা করার পর মিশরে একজন ব্যক্তি (জামাল আবদেন নাসের) আসবে, যাকে আরবরা সুচ্চাউল আরব বা, আরবে

খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল কেন ইরান আক্রমণ করবে? ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কালো পতাকাবাহী দলকে কী আমরিকা বা, অন্য কেউ সাহায্য করবে?

মুসলমানদের শেষ আশা ভরসার দল হচ্ছে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল, এই দল থেকেই উত্থান হবে ইমাম মাহদীর। যদিও হাদিসে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন "বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের সাথে যোগ দেয়ার জন্য"। কিন্তু ১৫০ কোটির বেশি মুসলিম থাকা সত্ত্বেও কেন খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের যোদ্ধার সংখ্যা মাত্র ৪/৫ হাজার হবে? এটা কী জানেন? উত্তর হচ্ছেঃ খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলকে আমাদের সামনে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হবে? যাতে বেশিরভাগ মুসলিম এই দলটির নাম শুনলেই এক বাক্যে উত্তর দিয়ে দিবেঃ তারা হচ্ছে, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, নিরপরাধ মানুষ হত্যাকারী, ধর্ষণকারী, Terrorist, ঈসরাইলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারী, ইহুদী খ্রিস্টানদের দালাল, আমরিকার পোষা বাহিনী!!!! তাই খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করছি। ♦ আসলে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল কারা? _________________________________________________ যেহেতু খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে ইতোমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, তাই এখানে খোরাসানের কালো পতাকা

হাদীসে বর্নিত হিন্দুস্তানের চুড়ান্ত যুদ্ধ কখন হবে? আমরা কি হিন্দুস্তানের যুদ্ধ দেখতে পাব?

আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে হাদিসে বর্ণিত হিন্দুস্তানের যুদ্ধ সম্পর্কে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা দেখা যাচ্ছে। যদিও আমাদের বেশিরভাগ মুসলিম ভাই জানেই না, আসলে হাদীসে বর্নিত হিন্দুস্তানের যুদ্ধ কখন হবে? আশ্চর্যের ব্যাপার হল, হিন্দুস্তানের যুদ্ধের পূর্বেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে মালউনরা পাকিস্তান ধ্বংস করে এবং নিজেরাও ধ্বংসের মুখোমুখি হবে, এছাড়াও চীন, বাংলাদেশ সহ পুরো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ৩০০ কোটি মানুষকে ধ্বংসের মুখোমুখি ফেলে দিবে, অথচ এব্যাপারে আমাদের বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। যদিও এই বিষয়টি আমাদের খুবই নিকটবর্তী এবং এই মহা বিপর্যয়টি আমাদের যুগেই হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। এমনকি আমি খুবই ব্যাথিত হই, যখন দেখি আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা একটা কিছু দেখলেই কথায় কথায়, হাদিস বর্নিত হিন্দুস্তানের যুদ্ধ নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা শুরু করে দেয়, অথচ এব্যাপারে তাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। তাই হাদীসে বর্নিত হিন্দুস্তানের যুদ্ধটি আসলে কখন হবে? এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করছি। ** হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা মুশরিক