Posts

Showing posts from June, 2018

কুরআন ও হাদিসের আলোকে ঈসরাইল রাষ্ট্র কিভাবে ধ্বংস হবে? ইহুদী জাতি চুড়ান্ত ভাবে কখন ধ্বংস হবে?

গত ১০০ বছর ধরে ফিলিস্তিনের ভাইয়েরা অভিশপ্ত ইহুদীদের হাতে মার খেয়েই যাচ্ছে। বিশেষ করে, ১৯৬৭ সালের পর থেকে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত, অপমানিত, উচ্ছেদ, হত্যা, দেশান্তর হয়েই যাচ্ছে। এখান প্রশ্ন হল, মুসলমানরা আর কত দিন অভিশপ্ত ইহুদীদের হাতে মার খাবে? আর কতদিন ফিলিস্তিনের ভাইদের রক্ত দিতে হবে? কবে আসবে মুসলমানদের সুদিন? উত্তর হল, ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই মুসলমানদের সুদিন ফিরে আসছে। খুব শীঘ্রই ইহুদীদের অত্যাচার, লাঞ্ছনা, উচ্ছেদ, হত্যা, গনহত্যা, ধর্ষণ, ও দেশান্তর থেকে মুক্তি পাবে। মুসলমানরা খুব শীঘ্রই জেরুজালেমকে খেলাফতের রাজধানী করবে। "মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে জঘন্য দুশমন হল ইহুদী ও মুশরিকরা (মূর্তি পূজারী)"(সূরা মায়েদা, আয়াত নং - ৮২) ♣️Greater Israel এর সিমানা কতটুকু? ----------------------------------------------------------- বর্তমান সময়ে যারা Eschatology বা, আখিরুজ্জামান নিয়ে পড়াশোনা করেন তাদের কারো কারো ধারণা পৃথিবীর ভবিষ্যত সুপার পাওয়ার রাষ্ট্র হবে ঈসরাইল এবং ইহুদীরা খুব শীঘ্রই তাদের Greater Israel প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে এবং একই সাথে তারা পুরো পৃথিবীর নেতৃত্ব দিবে। সা

ইমাম মাহদী ও হযরত ইসা (আঃ) এর আত্নপ্রকাশ একই যুগে হবে না? ইমাম মাহদীর মৃত্যুর পর কারা পর্যায়ক্রমে খলিফা হবেন?

আমাদের মুসলমানদের মধ্যে একটি ভূল ধারণা হচ্ছে, ইমাম মাহদীর যুগেই হযরত ঈসা (আঃ) আকাশ থেকে অবতরণ করবেন। তাদের ধারণাটা অনেকটা এরকম যে, ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পরেই তিনি সুফিয়ানীকে হত্যা করবেন, ঈসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ইহুদীদের কচুকাটা করবেন এবং জেরুজালেমকে খিলাফতের রাজধানী বানাবেন। ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ভারত বিজয় করবেন। রাশিয়া, আমেরিকা, ও ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জয়লাভ করবেন। তারপর তার সময়েই দাজ্জাল আত্নপ্রকাশ করবে, এবং সর্বশেষ হযরত ঈসা (আঃ) আকাশ থেকে অবতরণ করে ইমাম মাহদীর পিছনে নামাজ পরবেন এবং দাজ্জাল কে হত্যা করবেন। অর্থাৎ ইমাম মাহদীর শাসন কাল ৭ বছরের মধ্যেই সব কিছু হয়ে যাবে। তারপর ঈসা (আঃ) ৪০ বছর রাজত্ব করবেন, তারপর সকল ইমানদার মুসলমানগন একযোগে মৃত্যু বরণ করবেন। অর্থাৎ আগামী ৪৯ বছরের মধ্যে সব কিছু ঘটে যাবে। কিন্তু আসলেই কি তাদের ধারণা মত এরকম হবে? নাকি ইমাম মাহদী ও ঈসা (আঃ)  আলাদা দুটি যুগে আসবেন? ♣️কেন তারা এরকম ধারণা করছেন? ______________________________________ ** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "সেদিন কেমন

সত্যিকারের খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনী কারা? কবে তাদের উত্থান হবে?

খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রতিটি সচেতন মুসলমানের জন্য আবশ্যক। কারন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদেরকে কঠিন ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থান হলে তোমরা বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাদের সাথে যোগ দিবে। অর্থাৎ খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের সাথে যুক্ত হওয়া প্রতিটি মুসলমানের জন্য ওয়াজিব। তাই সচেতন মুসলমানদের জন্য খোরাসানের বাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানা বাধ্যতামূলক। কারন, এই দলটির মধ্য থেকেই ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে। ⚫খোরাসান কোথায় অবস্থিত? _____________________________ মূলত রাসুল (সাঃ) এর যুগে বৃহত্তর খোরাসান বলতে এর সীমানা নিম্ন লিখিত ভূখণ্ডের সমষ্টিকে বুঝায়, যার মূল কেন্দ্র হচ্ছে বর্তমান আফগানিস্তান। বিস্তৃতি নিম্নরূপঃ “উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তান (হেরাত, বালখ, কাবুল, গাজনি, কান্দাহার দিয়ে বিস্তৃত), উত্তর ও দক্ষিন-পূর্ব উজবেকিস্তান (সামারকান্দ, বুখারা, সেহরিসাবজ, আমু নদী ও সীর নদীর মধ্যাঞ্চল দিয়ে বিস্তৃত), উত্তর-পূর্ব ইরান (নিশাপুর, তুশ, মাসহাদ, গুরগান, দামাঘান দিয়ে বিস্তৃত), দক্ষিন তুর্কমেনিস্তান (মেরি প্রদেশ – মার্ভ, সানজান