Posts

Showing posts from February, 2018

ইমাম মাহদী কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন? আমরা তাকে কোন দলে খুঁজে বের করব?

আমরা প্রায় সবাই জানি, ইমাম মাহদীর যখন ৪০ বছর বয়স হবে, তখন হজ্জ্বের সময় পবিত্র কাবা শরীফে তার আবির্ভাব হবে। কিন্তু ৪০ বছর পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা মাহদীকে গোপন রাখবেন, যাতে কাফেররা কোন ভাবেই চিনতে না পারে। হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, ইমাম মাহদীর শত্রু সুফিয়ানী মক্কায় কুরাইশ বংশের কিছু লোকদেরকে হত্যা পর্যন্ত করবে, যাতে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল মাহদী নামে কারো আবির্ভাব হতে না পারে। তা সত্ত্বেও ঈমানদারেরা মক্কায় মাহদীকে ঠিকই চিনে ফেলবে এবং তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করেই তাকে বাইয়াত দিবে এবং খলিফা নিযুক্ত করবে। তাই ঈমানদারেরা যাতে তাকে চিনতে পারে, সেজন্য মাহদীর কিছু অজানা তথ্য জানতে চাই। ** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মাহদীর আগমন (জন্ম) হবে এমন একটি গ্রাম থেকে, যাকে" কারাহ " বলা হয়। (লেখকঃ আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (রহঃ), আল আরিফুল আরদি ফি আখবারিল মাহদী)  (লেখকঃ ড. তাহেরুল কাদরী, আমাদ সাইয়েদেনা ইমাম মাহদী (আঃ) আবু নাইম, আবু বকর বিন মুখরী, মাজআম, ইবনে আদি আল কামালঃ আল কুনুজি আল বায়ান) * হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (

মুসলিম জাতির হায়াত কি সত্যিই ৪৯ বছর বাকী রয়েছে?

Image
বর্তমানে যারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বর্নিত আখেরি জমানার হাদিস গুলো নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের কেউ কেউ দুয়েকটি হাদিসের ব্যাখ্যা করে বলছেন মুসলমানদের হায়াত আর ৪৯ বছর বাকী রয়েছে বলে প্রচার করছেন।এমনকি তারা এই ৪৯ বছরের উপর নির্ভর করেই বলছেন, ইমাম মাহদী ২০১৯/২০ সালেই আত্নপ্রকাশ করবেন। বিশেষ করে, শাইখ মুফতি কাজি ইব্রাহিম সাহেব যখন এটা প্রচার করলেন, তখন বিষয়টি আরও ব্যাপক আকারে প্রচার হতে লাগল। যদিও আমি নিজেই মুফতি কাজি ইব্রাহিম সাহেবকে অনেক পছন্দ করি, কিন্তু তার সব ব্যাখ্যার সাথে আমি একমত নই। কিন্তু আসলেই কি মুসলমানদের হায়াত আর ৪৯ বছর বাকী আছে? কেন তারা বলেন, আর ৪৯ বছর বাকী রয়েছে? ----------------------------------------------------------------- ** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, দুনিয়ার বয়স ৭ দিন, আর ১ দিন হচ্ছে, ১০০০ বছর। আর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) শেষ দিনে পৃথিবীতে আগমন করেছেন। অর্থাৎ ১০০০ বছর পূর্বে। ** অপর একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মত অর্ধ দিবস হায়াত বেশি পাবে। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করল, অর্ধ দিবস সমান কত দিন?

সিরিয়া যুদ্ধের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত (চতুর্থ পর্ব)

সিরিয়া যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি হাদীসের আলোকে যেভাবে ধীরে ধীরে ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমনের  দিকে মোড় নিবে সেটাই এই পর্বে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হবে। বর্তমান সিরিয়ার যুদ্ধটি ইরাক ও মিশরকে গ্রাস করে থেমে থাকবে না বরং পুরো মধ্য প্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, মধ্য এশিয়াকে একটি ভয়ংকর অসমাপ্ত যুদ্ধের দিকেই ঠেলে দিবে। সমগ্র মুসলিম বিশ্বে ভবিষ্যতে যে ঘটনাগুলো ঘটবে সেগুলো সময়ের সাথে মিল রেখে উল্লেখ করা হবে। ( ইনশাল্লাহ) ১, ২০১১ সালে আরব বসন্ত সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে মোড় নেয়া। ২, ২০১২ সালে সিরিয়া যুদ্ধে ইরাকের জিহাদী গোষ্ঠী ইসলামিক ইস্টেট  (Islamic state of Iraq) প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ । ৩, ২০১২ সালে ইরানের IRGC, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া ও আফগানিস্তানের শিয়া মিলিশিয়াদের প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে যুদ্ধে যোগ দেয়া। ৪, ২০১৪ জাবাহাত আল নুসরা (বর্তমান HTS) এর সাথে বিরোধের জেরে ইসলামিক ইস্টেট (Islamic state of Iraq and syria - ISIS) খিলাফত ঘোষণা। ৫, ২০১৪ সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামিক ইস্টেট কে নির্মূল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও

সিরিয়া যুদ্ধের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত (তৃতীয় পর্ব)

হযরত ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমনের পূর্বে সিরিয়ায় বানু কাল্ব গোত্রের সুফিয়ানী বাদশা আত্মপ্রকাশ করবে। আর এই সুফিয়ানী বাহিনী সরাসরি ইমাম মাহদী (আঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। যদিও সুফিয়ানী তার প্রকৃত নাম নয়, তার আসল নাম হবে আজহার ইবনে কাল্ব, অথবা উসমান, যারা বংশ গত দিক থেকে বানু উমাইয়া গোত্রের আবু সুফিয়ানের বংশের লোক হবে। আর তাদের সহযোগিরা হবে বানু কাল্ব গোত্রের। অবশ্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার পিতা হাফিজ আল আসাদও কিন্তু বানু কাল্ব গোত্রের লোক, যাদেরকে আলাবী মুসলমান বলা হয়ে থাকে। * হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, শাম (সিরিয়া) দেশে তিন ঝাণ্ডা বিশিষ্ট তিনজন লোক আত্মপ্রকাশ করবে। আসহাব , আবকা ও সুফিয়ানী ঝাণ্ডা। আসহাব বের হবে মাশরিক (অর্থাৎ সিরিয়ার পূর্বাঞ্চল ইরাক) থেকে, আবকা বের হবে মিশর থেকে এবং সুফিয়ানী বের হবে শাম দেশ (সিরিয়া) থেকে। আর সুফিয়ানী তাদের উভয়ের উপর বিজয়ী হবে। (নুয়াইম বিন হাম্মাদের আল ফিতানঃ হাদীস নং - ৮৪৫) সিরিয়াতে যখন কালো পতাকাবাহী দলের মধ্যে মতবিরোধ চরম আকার ধারণ করবে তখন মিশরে হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতির আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তারা সিরিয়ায় এসে প

সিরিয়া যুদ্ধের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত (দ্বিতীয় পর্ব)

সিরিয়া যুদ্ধের প্রথম দিকে আমরা দেখেছিলাম ইরাকের ইসলামিক ইস্টেট(Islamic State of Iraq and Syria-ISIS) ও সিরিয়ার জাবাহাত আল নুসরা(বর্তমান হায়াতা তাহরির আল শাম-HTS) সবাই কে অবাক করার মত সাফল্য পেয়েছিল।একে একে তারা দখল করে নিয়েছিল আলেপ্পো, রাক্কা, ইদলিব, দেইর আল জুর (Deir-ez-zur), দ্বারা (Daraa),পালমিরা, হোমস প্রদেশের এর কিছু অংশ এবং হামা এর কিছু অংশ দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা গুলো ধরে রাখতে পারছে না। বরং ২০১৫ সালে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো (Aleppo) থেকে ইসলামপন্থী দের পতন এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে দ্বারা (Daraa),এবং উত্তর আলেপ্পো, রাক্কা, হোমস, পালমিরা, দেইর আল জুর পতন হয়। যার কারণে অনেক মানুষ যারা পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শাসনের স্বপ্ন দেখতে ছিল তারা মারাত্মক ভাবে ব্যথিত হয়। আসুন এখন আমরা বর্তমান সময়ের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ কয়েকটি হাদিসের বর্ননা দেখে নেই। **হযরত উমার ইবনে খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, ‘হে আল্লাহ! আমাদের শামে (সিরিয়া) ও ইয়ামেনে অপনি বরকত দান করুন। লোকেরা বলল, আমাদের নজদেও। তিনি পুনরায় বললেন, হে আল্লাহ

সিরিয়া যুদ্ধের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতঃ (প্রথম পর্ব)

মূলত খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০০ বছর থেকে সিরিয়ার ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়। সিরিয়াতে ইসলাম আসার সময়, সিরিয়া মূলত ‘শাম’ নামে পরিচিত ছিল এবং শাম এর বৃহত্তর অংশের অন্তর্ভুক্ত ছিল বর্তমান জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন, প্যালেস্টাইন ও দখলদার ইসরাইল। ৬৪০ খ্রিস্টাব্দে হযরত ওমর (রাঃ) এর খেলাফতের সময় সিরিয়া রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। এরপর হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) ও হযরত আবু ওবায়দা (রাঃ) এর নেতৃত্বে একে একে পুরো বৃহত্তর সিরিয়া (শাম) ইসলামিক খেলাফতের অধীনে আসে এবং দলে দলে সেখানকার মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে। খুলাফায়ে রাশেদিনদের পরে  ১০৯৮ সাল পর্যন্ত জাজিরাতুল আরব (সৌদি আরব,সংযুক্ত আরব আমিরাত,কাতার, বাহরাইন ও ওমান) ভিত্তিক উমাইয়া বংশ , আব্বাসীয় বংশ ও মিশরভিত্তিক ফাতেমীয় রাজতন্ত্রের অধীনে শাসিত হয়। ১০৯৮ থেকে ১১৮৯ সাল পর্যন্ত ক্রুসেড যুদ্ধের সময় বর্তমানের মূল সিরিয়াসহ বৃহত্তর শামের বিভিন্ন অংশ জার্মান, ইংরেজ, ইতালি ও ফ্রান্সের দ্বারা শাসিত হয়। পরবর্তীতে সেলজুক, আইয়ুবি, মামলুকদের হাত ঘুরে এই ভূখণ্ড ১৫১৬ সালে অটোম্যান সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে অটোম্যান সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর মূলসিরিয়াসহ বৃহত

ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে ২০২৮ সালে (ইনশাল্লাহ)

ইমাম মাহদী (আঃ) এর আত্নপ্রকাশ কবে হবে? এই বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেকটি যুগেই চলছে ভবিষ্যৎ বানী। যদিও নির্দিষ্ট সময় আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানে না। তারপরও কেবল মাত্র সতর্কতার জন্য ইমাম মাহদীর আগমনের কাছাকাছি একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে একটু লিখতে চাই। কারন অনেকে হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা ও বর্তমান পৃথিবীর সত্য সংবাদগুলো না থাকার কারণে মনে করছেন ইমাম মাহদীর আগমন আরো শতশত বছর পরে হবে। অপরদিকে কিছু ভাই মনে করছেন ২০২৩ সালের মধ্যেই ইমাম মাহদীর আগমন হবে। যদিও এর কোনটাই সঠিক নয়। বরং বর্তমানে ইমাম মাহদী (আঃ) এর আত্নপ্রকাশের অধিকাংশ আলামত এই সময়টির সাথে মিলে যাচ্ছে। তবে এখনও কিছু আলামত বাস্তবায়ন বাকী রয়েছে। তবে কেউ আমার এই লেখাটিকে একমাত্র দলিল হিসেবে নির্ভরশীল হবেন না (মূলত সুনির্দিষ্ট সময় কেবলমাত্র আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন) ১, তুর্কি খিলাফত ধ্বংসঃ _______________________ ** হযরত আবু কুবাইল (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ১০৪ বছর পর মাহদী (আঃ) উপর মানুষ ভিড় করবে। ইবনে লাহইয়া বলেন, উক্ত হিসাবটা আজমী তথা অনারবী হিসাব মতে। আরবী হিসাব মতে নয়। [ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৬২, আস সুনানু কিতাবুল ফির