Posts

Showing posts from March, 2018

ভয়ংকর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীঃ

আমরা কতটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি তা জানতে হলে, আমাদেরকে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বর্নিত আখিরুজ্জামানের হাদীসের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি মিলিয়ে দেখতে হবে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলতে, এখানে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের আমাক প্রান্তের মহাযুদ্ধের কথা বলা হয়নি, বরং বর্তমান যুগের ভয়ংকর পারমাণবিক যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে, এই যুদ্ধটি হবে গোটা বিশ্বব্যাপী। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ যারা আখিরুজ্জামান এর হাদীস গুলো নিয়ে গবেষণা করেন, তারা মনে করেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলতে আমাক প্রান্তের বা, দাবিক পাহাড়ের যুদ্ধকে বুঝায়? সত্যিকার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর আমাক প্রান্তের যুদ্ধ এক নয়। এই দুটি যুদ্ধের মধ্যে সময়ের ব্যবধান শত শত বছর। তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমাদের খুবই নিকটবর্তী, এই যুদ্ধে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে। থাকবেনা কোন দেশ,মহাদেশ, কাঁটাতারের বেড়া, আধুনিক প্রযুক্তি, অহংকারী নেতা ও তাদের দল। এমনকি এই ভয়ংকর বিশ্বযুদ্ধটি শত শত বছর পরে হবেনা, বরং ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বেই হবে, অর্থাৎ আমাদের একেবারেই নিকটবর্তী। ** হযরত হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছ

ইরাকের মসূল যুদ্ধ নিয়ে হাদীসের আশ্চর্য ভবিষ্যৎবাণীঃ

ফিতনা কালীন যুগে ইরাকের কুফা নগরী সম্পর্কে অনেকগুলো হাদীস রয়েছে। আর এই শহরটি কিয়ামতের আলামত সংক্রান্ত যুদ্ধ বা, ধ্বংস হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই হাদীসে বর্নিত কুফা নগরী বলতে, কোন শহরকে বুঝানো হয়েছে? তা আমাদের জানা দরকার। আর কুফা নগরী সম্পর্কিত সব হাদিসগুলো মূলত তিনটি মূল ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্নিত। যেমনঃ ১,কুফা নগরীতে প্রসিদ্ধ ১২ টি ঝান্ডাবাহী পতাকা উত্তোলন করা হবে। (২০১৬-২০১৭) ২, সুফিয়ানী কুফা নগরীতে কালো পতাকাবাহী আসবাব জাতির(Islamic state) ৭০ হাজার সৈন্যকে হত্যা করবে। ৩,রোমানরা (খ্রিস্টানরা) ও মুসলিমরা মিলে কুফা নগরীকে ধ্বংস করে ফেলবে। হাদিসে বর্ণিত কুফা নগরী কোনটি? ________________________________ মূলত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও সাহাবীদের যুগে ইরাক ও কুয়েত নামে কোন ভূখণ্ড ছিল না, বর্তমান ইরাক ও কুয়েতকে বসরা ও কুফা নামে ডাকা হত। অর্থাৎ যদি কুফা ও বসরা উল্লেখ করে কোন হাদিস বর্ননা করা হত, তখন বুঝা যেত, এটা বৃহত্তর ইরাক ও কুয়েত কেই বুঝানো হয়েছে? আর বাগদাদ নগরীকে ডাকা হত জাওরা নামে। চলুন হাদিস থেকেই জানি, ইরাকের কুফা নগরী বলতে বর্তমান কুফা নগরীকে বুঝানো হয়েছে? নাকি

আমরিকার জন্য অপেক্ষা করছে আরো দুটি পরাজয়ঃ

আধুনিক রোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা আমরিকা ইতোমধ্যেই ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিক ভাবে যখন দিন দিন দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে, তাদের ঋণের বোঝা যখন ১৯. ৬ ট্রিলিয়ন (১৯,৬০০ বিলিয়ন ডলার) দাড়িয়েছে। ঠিক এই মুহূর্তে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তার সাহাবীরা আমাদেরকে দিচ্ছেন কাফেরদের প্রধান আমরিকা ও ইউরোপকে আরো দুটি যুদ্ধে পরাজয়ের সুসংবাদ। এর মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাবে তাদের চূড়ান্ত অহংকার। সেটি খুব দূরে নয়, বরং ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বেই আমরিকা ও ইউরোপ সিরিয়া ও মিশরের মাটিতে লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত পরাজিত হবে । ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে আমরিকা কি পেল? ------------------------------------------------------------------- ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ভয়ংকর মারণাস্ত্র তৈরির মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে ১ই মে ২০০৩ সালে Operation Iraqi freedom  নামে ইরাক আক্রমণ করেছিল আমরিকা ও ব্রিটেন এবং তাদের সহযোগী ন্যাটো জোট। আমরিকার ১,৯২,০০০ সৈন্য ব্রিটেনের ৪৫,০০০ সৈন্য এবং দালাল কুর্দি পেশমের্গার ৭০,০০০ সৈন্য সহ সকল অত্যাচারী জালেমরা নিরপরাধ নারী, শিশু ও বেসামরিক মানুষের উপর বীরত্ব দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ

ইসলামিক ইস্টেট (ISIS) কি আসহাব জাতি? তাদের কি পুনরায় উত্থান হবে? তাদের শেষ পরিণতি কি হবে?

সিরিয়া যুদ্ধের পর থেকেই ইসলামিক ইস্টেট(ISIS) একটি বিতর্কিত নাম। মিডিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ মানুষ এই দলটির নাম শুনেছে কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এই দলটিকে শত্রু মনে করে থাকে। তাদের মনে ধারনা হচ্ছে, ইসলামিক ইস্টেট মানেই শিরশ্ছেদ করা, আত্মঘাতী বোমা হামলা করা, নারীদের ধর্ষণ করা, আর মিডিয়ার হেডলাইনে থাকা। এমনকি বেশিরভাগ মডারেটপন্থী মুসলমান মনে করে ইসলামিক ইস্টেট হচ্ছে আমরিকা এবং ঈসরাইলের তৈরি একটি দল, এবং তারা ইহুদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। যদিও তাদের কাছে এব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ নেই। তাই আসুন হাদীসের আলোকে জানি, ইসলামিক ইস্টেট আসলে কে? কি হবে তাদের চূড়ান্ত পরিনতি? তারা কি আসলেই আমরিকা ও ঈসরাইলের তৈরি?নাকি অন্য কিছু? ⚫ ইসলামিক ইস্টেট সম্পর্কে হাদিসের আশ্চর্য্য কিছু  বর্ননাঃ ____________________________________________________ ** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুরাইর আল-গাফিকী (রহঃ) বলেন, আমি হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, ‘স্বর্ণ খনিতে যেমনিভাবে স্বর্ণ বাছাই করা হয় অচিরে এমন ফিত্বনা হবে যে তাতে মানুষকে তেমনিভাবে বাছাই করা হবে। সুতরাং তোমরা শামবাসী