ইমাম মাহদী কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন? আমরা তাকে কোন দলে খুঁজে বের করব?


আমরা প্রায় সবাই জানি, ইমাম মাহদীর যখন ৪০ বছর বয়স হবে, তখন হজ্জ্বের সময় পবিত্র কাবা শরীফে তার আবির্ভাব হবে। কিন্তু ৪০ বছর পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা মাহদীকে গোপন রাখবেন, যাতে কাফেররা কোন ভাবেই চিনতে না পারে। হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, ইমাম মাহদীর শত্রু সুফিয়ানী মক্কায় কুরাইশ বংশের কিছু লোকদেরকে হত্যা পর্যন্ত করবে, যাতে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল মাহদী নামে কারো আবির্ভাব হতে না পারে। তা সত্ত্বেও ঈমানদারেরা মক্কায় মাহদীকে ঠিকই চিনে ফেলবে এবং তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করেই তাকে বাইয়াত দিবে এবং খলিফা নিযুক্ত করবে। তাই ঈমানদারেরা যাতে তাকে চিনতে পারে, সেজন্য মাহদীর কিছু অজানা তথ্য জানতে চাই।

** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মাহদীর আগমন (জন্ম) হবে এমন একটি গ্রাম থেকে, যাকে" কারাহ " বলা হয়।
(লেখকঃ আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (রহঃ), আল আরিফুল আরদি ফি আখবারিল মাহদী) 

(লেখকঃ ড. তাহেরুল কাদরী, আমাদ সাইয়েদেনা ইমাম মাহদী (আঃ) আবু নাইম, আবু বকর বিন মুখরী, মাজআম, ইবনে আদি আল কামালঃ আল কুনুজি আল বায়ান)

* হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, "ক্রিমিয়া নামের একটি শহর বা, গ্রাম থেকে মাহদীর আবির্ভাব (জন্ম) হবে। এই হাদিসটি আবু নাইম বলেছেন, এবং আবু বকর বিন আল মুখরী তার "মুজআম" নামক বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন।

(লেখকঃ আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (রহঃ), আল আরিফুল আরদি ফি আখবারিল মাহদী)

** মাহদী "কারাহ" নামক গ্রাম থেকে আসবেন (অর্থাৎ জন্ম গ্রহণ করবেন)।
(রিসালাত আল খুরুজ আল মাহদী পৃষ্ঠা নং - ৬৯)

** রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, একজন লোক (মাহদী) মদিনা থেকে (একটি বড় থেকে) মক্কায় আসবেন, লোকজন তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাবা শরীফ ও মাকামে ইব্রাহিমের পাশে বাইয়াত দিবে (খলিফা নিয়োগ করবে)
 
(লেখকঃ মারী বিন ইউসুফ কারামী হাম্বলী, (ফাতাওয়ায়ে আল ফিকহ ফিল মাহদী আল মুনতাজার)

⚫কোথায় এই "কারাহ" বা, "ক্রিমিয়া" শহর?
-----------------------------------------------------------

মূলত "কারাহ" বা, "ক্রিমিয়া" নামে মধ্যযুগ ও বর্তমান পৃথিবীতে দুটি শহর বা, গ্রামের নাম পাওয়া যায়।

♦ ১, সদ্য ২০১৪ সালে হঠাৎ করেই ইউক্রেন থেকে জোর করে রাশিয়া যে ক্রিমিয়া শহর দখল করে নেয়, সেটা। এটি ১৪৪৯ সাল থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত তুর্কি অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। তার পর ১৭৮৩ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার অধীনে ছিল। ১৯৯১ সালে cold war এ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ক্রিমিয়া ইউক্রেনের আধীনে চলে যায়। ২০১৪ সালে আমরিকা গন অভুত্থান ঘটিয়ে রাশিয়ান পন্থী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করলে রাশিয়া পাল্টা ক্রিমিয়ায় গনভোট দিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়।
এই ক্রিমিয়ায় মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজারের মতো। যার অর্ধেকের বেশি হল তাতার মুসলিম। এছাড়াও কিছু আছে তুর্কি মুসলিম, কিছু আছে উজবেক মুসলিম, কিছু আছে আরব মুসলিম, ২০০০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী আরব মুসলিমদের সংখ্যা হল ৫৫০০ মত, বর্তমানে হয়তো ১০ - ১৫ হাজার হতে পারে।

কিন্তু ক্রিমিয়া যখনই রাশিয়ানরা দখল করেছে, তখনই মুসলমানদের উপর চরম নির্যাতন চালিয়েছে, প্রথমবার, ১৭৮৩ সালে যখন ক্রিমিয়া দখল করে নেয়, তারপর সেখান থেকে ১,৬০,০০০ তাতার মুসলিমকে জোর করে বের করে দিয়েছিল। দ্বিতীয়বার, ১৯৪৪ বিশ্বযুদ্ধের সময় জোসেফ স্টালিন আবার ২,০০,০০০ তাতার মুসলিমকে ক্রিমিয়া থেকে বের দিয়েছিল, পরবর্তীতে প্রায় ১,০০,০০০ লক্ষ তাতার মুসলিম উজবেকিস্তানের শরনার্থী শিবিরে মারা গিয়েছিল। তৃতীয়বার, ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন হঠাৎ করে আবার ক্রিমিয়া দখল করে নেয়, তারপরে আবার সেখানকার মুসলমানদের উপর নির্যাতনের অন্ধকার দিন আবার শুরু হয়। সেখানকার রুশপন্থী বিদ্রোহীরা তাতার মুসলমানদের নির্যাতন চালিয়ে আসছে।যার কারণে নতুন করে, অনেকেই ক্রিমিয়া থেকে তুরস্ক চলে যাচ্ছে।

** ইমাম কুরতুবী তার "তাজকিরাহ" নামক গ্রন্থে লিখেছেন, ইমাম মাহদী পাশ্চাত্যের ইসলামিক দেশ (অর্থাৎ মধ্য এশিয়ার দেশ) থেকে আসবেন এবং সেখানকার একটি বড় শহরে জন্মগ্রহণ করবেন "।

(The prophet Jesus & hazrat mahdi will come this century পৃষ্ঠা নং - ১১৭)

** সৈয়দ আহমেদ হিশামুদ্দিন (রাহঃ)  ইমাম মাহদীর জন্মস্থান সম্পর্কে লিখেছেন, "কাকেশাশ" অঞ্চলের সর্বোচ্চ চুড়া, যেখানে সূর্যের রশ্মি পরে, সেখানকার মুসলমানদের থেকে একজন লোক (ইমাম মাহদী) আসবেন।

(উসমান ইউকসেল সারদেনগেকটিঃ মাবেদসিজ সাহের (যার বাংলা অর্থ হল, যেখানে কোন উপাসনালয় নাই) পৃষ্ঠা নং - ১০৭)

♦ ২, "কারাহ" বা, "কারাকুল" নামে মধ্যযুগে আরেকটি গ্রাম বা, শহরের নাম পাওয়া যায়, সেটা হল মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, এবং পূর্ব তুর্কিস্থান এর সীমান্তবর্তী এলাকায়। আমার ব্যক্তিগত গবেষণায় মনে হচ্ছে, এই এলাকাই হবে ইমাম মাহদীর জন্মস্থান। কারন,

ক) হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, "বনি তামিম গোত্রের শুয়াইব ইবনে সালেহ প্রাচ্যের সমরখন্দ থেকে আবির্ভূত হবেন"। (উল্লেখ সমরখন্দ এলাকাটি বর্তমান উজবেকিস্তানের একটি এলাকার নাম)

(কিতাবুল গাইবাত)

** হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, মাহদী (আঃ) এবং শুয়াইব ইবনে সালেহ একই জেলা বা, প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হবেন"।

(কিতাবুল ফিতানঃ হাদিস নং - ৮৯৯)

খ) একটি হাদীসে বলা হয়েছে, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল যদি বের হয়, তাহলে তোমরা বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাদের সাথে যোগ দিবে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কেন বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও যোগ দিতে বলেছেন? অত্যন্ত আশ্চর্যের ব্যাপার হল, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও পূর্ব তুর্কিস্থানের এই "কারাকুল" হল একটি পাহাড়ি এলাকা এবং এখানে সবসময়ই বরফ আচ্ছাদিত থাকে।

** হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “তোমাদের ধনভাণ্ডারের (রাজত্বের জন্য) নিকট তিনজন বাদশাহ এর সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার (রাজত্ব) তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে কতগুলো কালো পতাকাবাকী দল আত্মপ্রকাশ করবে। তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে, যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি”। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর নবীজি (সাঃ) আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন, “তারপর আল্লাহর খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে, তাঁর হাতে বাইয়াত নেবে। যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি”।

(সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)

গ) এছাড়াও আরো অনেক হাদীসে বলা হয়েছে, মাহদী পূর্বদিকের একটি শহরে জন্মগ্রহণ করবেন। এবং তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের এই "কারাকুল" এলাকাটি কিন্তু মক্কা ও মদিনা থেকে পূর্ব দিকেই অবস্থিত।

ঘ) "কারাকুল" এলাকাটি থেকে বর্তমান আফগানিস্তানের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। আর খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল যেহেতু এই এলাকা থেকেই বের হবে, তাই এখানেই মাহদীর জন্মস্থান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। এছাড়াও "কারাকুল" অঞ্চল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ   
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Karakul_(Tajikistan)#Environment

⚫ কোন কোন দলে আমরা তাকে খুজব?
---------------------------------------------------------

বর্তমানে যারা পীর পন্থী তারা মনে করেন, ইমাম মাহদী বেলায়েত ও পীর তরিকার হবেন, যারা মডারেট ইসলাম পন্থী তারা মনে করেন, ইমাম মাহদী তাদের দলের কর্মী হবেন, কিন্তু এটা আমাদের সবাইকে মেনে নিতে হবে, বর্তমানে পাশ্চাত্য মিডিয়ার কারণে পৃথিবীতে যাদের কে জঙ্গী, সন্ত্রাসী, Terrorist বলে জানি, তাদের থেকেই ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে।

⚫ তাই বর্তমানে যাদের ভিতর মাহদীকে খুজব, তা হলঃ

১, Caucasus emirates (এই দলটির উপর আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে, কারণ কাকেশাশ অঞ্চলের যারা একটি পরিপূর্ণ ইসলামিক শাসন ব্যবস্থার জন্য যুদ্ধ করছে। বর্তমানে তারা সিরিয়ার HTS (হায়াতা তাহরির আল শামের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে)।

** হযরত সুফিয়ান কালবী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মাহদীর দলে এক কম বয়সী, পাতলা দাড়ি বিশিষ্ট, এবং হলুদ বর্ণের এক তরুন যুবক(হারস হাররাস)বের হবে। আর ’ওয়ালীদ হলুদ বর্ণ’ উল্যেখ করেন নাই। যদি পাহাড়ের সাথে যুদ্ধ করে তাহলে পাহাড়কে কাপিয়ে দিবে। আর ওয়ালীদ বলেন ’ভেঙ্গে ফেলবে’।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯০২ ]

এই হাদিসের বৈশিষ্ট্যের সাথে কাকেশাশ অঞ্চলের মানুষের মিল রয়েছে। ঐই এলাকার মানুষগুলো দেখতে অনেকটা হলুদ বর্ণের দেখা যায়। উল্লেখ ইমাম মাহদীর আগে খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহী যে দলের আবির্ভাব হবে, সেই দলের নেতৃত্বে থাকবেন হারস হাররাস নামে এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে এই দল থেকেই ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে।

**“এক লোক মা-আরউন্নহর (নদীর ওপার) থেকে রওনা হবে, যার নাম হবে হারছ হাররাছ। তার বাহিনীর সম্মুখ অংশের সেনাপতির নাম হবে মানসুর, যে (খেলাফত বিষয়ে) মুহম্মদ বংশের জন্য পথ সুগম করবে বা শক্ত করবে, যেমনটি কুরাইশ আল্লাহর রাসুলকে ঠিকানা দান করেছিল। তার সাহায্য সহযোগিতা করা কিংবা তার ডাকে সাড়া দেওয়া প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য বলে বিবেচিত হবে”।

(সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ৪২৯০)

আমু নদীর ওপারে অবস্থিত বলতে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে ইসলামের পরিভাষায় ‘মা-আরউন্নহর’ বা ‘নদীর ওপার’ বলা হয়। উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান,কাজিকিস্তান এর অন্তর্ভুক্ত। আর এই অঞ্চলের বেশিরভাগ যোদ্ধাই Cucesus Emirates, vilayat kavkaz & IMU এর সাথে যুক্ত।

২, Cacusas province, vilayat kabkaz এই দলটি মূলত কাকেশাশ এমিরাটস থেকে আলাদা হয়ে ইসলামিক ইস্টেট এর আনুগত্য প্রকাশ করে সেন্ট্রাল এশিয়াতে নিজেদেরকে একটি শাখা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ইসলামিক ইস্টেট ২০১৫ সালে Cacusas province নিজেদের একটি শাখা হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমানে আল কায়দার অনুসারী cacusas emirate এর যোদ্ধারা সিরিয়া ও আফগানিস্তানে যুদ্ধরত রয়েছে। আর cacusas province, vilayat kavkaz এর যোদ্ধারা নিজেদের সংগঠিত করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে।

৩, Islamic movement of Uzbekistan (IMU) এই দলটি Islamic state এর অন্তর্ভুক্ত উলিয়ায়ে খোরাসান (Khorashan Province) এর সাথে মিলিত হয়ে আফগানিস্তানে যুদ্ধ করছে। তবে এই দলটির একটি ভাল দিক হচ্ছে, তারা একই সাথে আল কায়দার অনুসারী বিভিন্ন গ্রুপের সাথে ও ভাল সম্পর্ক রাখছে। কাউকে তাকফির করছে না। এই দলটির ব্যাপারে একটি হাদীসও রয়েছে,

**দরিদ্র পীরিত তালোকান অঞ্চল(আফগানিস্তানের উত্তর পূর্বাঞ্চল) সেখানে স্বর্ন, রৌপ্যের খনি নেই কিন্তু আল্লাহ্‌র রহমত দ্বারা পরিপূর্ণ। তারাই আল্লাহর রহমত দ্বারা স্বীকৃত, শেষ জমানায় তারাই হবে ইমাম মাহদীর সহযোগী "।
 (লেখকঃ আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান)


তাই যারা ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁদেরকে অবশ্যই মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, পূর্ব তুর্কিস্থান, আফগানিস্তান, কাজাকিস্তান এসকল দেশ সমূহের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। এছাড়াও মধ্য এশিয়ার কালো পতাকাবাহী দল গুলো যেমনঃ Cacusas emirate, vilayat (ইসলামিক ইস্টেট এর মধ্য এশিয়ার শাখা) , Islamic movement of Uzbekistan - (IMU), East Terkistan Islamic parties, আনসার আল ফুরকান (ইরানের আল কায়দার শাখা), Islamic state of Khurasan এই সকল কালো পতাকাবাহী দল গুলোর উপরও তীক্ষ্ণ নজর রাখা খুবই জরুরী।

Popular posts from this blog

ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে ২০২৮ সালে (ইনশাল্লাহ)

ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় কোথায় এবং কবে ভেসে উঠবে? (২০২৩ সালে ইনশাল্লাহ)