হলুদ পতাকাবাহী বর্বর আবকা জাতি কারা হবে? কিভাবে তাদের উত্থান ও পতন হবে?






ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমনের পূর্বে সিরিয়াতে সুফিয়ানীর উত্থান হবে। আর সুফিয়ানীর পূর্বে অবশ্যই সিরিয়াতে হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতির (Tuareg) উত্থান হবে। আর এই সুফিয়ানী কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতি (Islamic state) এবং হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতি (Tuareg) দের পরাজিত করেই সিরিয়াতে তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতি (Tuareg) কিন্তু আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে, কিন্তু আমরা কেউ তাদেরকে চিনতে পারছি না। তাই আমরা না জেনেই বলে দিচ্ছি আবকা জাতি হল, লেবাননের হিজবুল্লাহ, কেউ বলছে ইরাকের কুর্দি বাহিনী, কেউ বলছে মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমীন (Muslim Brotherhood) । তারা কেবল হলুদ পতাকা দেখেই বিভিন্ন দলের উপর আবকা জাতির ট্যাগ লাগিয়ে দিচ্ছে। সত্যিকার অর্থে কেউ তাদেরকে চিনতে পারছি না, তাই কেউ তাদেরকে নিয়ে মানুষকে সতর্ক ও করছে না।

হলুদ পতাকাবাহী এই আবকা জাতি (Tuareg) এতই হিংস্র এবং ক্ষমতাধর হবে যে, তাদের কাছে সর্ব প্রথম পরাজিত হবে উত্তর আফ্রিকাতে অবস্থানরত কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতির  অনুসারীরা(Islamic state), তারপর তারা মিশর দখল করবে, আমরিকানদের মিশর থেকে পরাজিত করে বের করে দিবে, জর্দান দখল করবে, ফিলিস্তিনে তাদের উপস্থিতি থাকবে, সর্বশেষ সিরিয়ার অর্ধেক এলাকা তাদের দখলে থাকবে।

** মুহাম্মদ ইবনে কা’ব কুরাজি (রহঃ) থেকে শুনে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, পশ্চিমারা একসময় (অর্থাৎ হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতি Tuareg) পৃথিবী শাসন করবে। কতইনা জঘন্য হবে তাদের শাসন।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৫১ ]


** আসমা ইবনে কাইস সুলামী (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি সর্বদা তার নামাযে মাগরিবী (Tuareg) ফিৎনা থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৪৯ ]


** প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ননা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আসমানের নিচে বর্বর জাতি (Tuareg)  থেকে নিকৃষ্টতম কোনো জাতি নেই। আল্লাহ তাআলার রাস্তায় সামান্য পরিমান জায়গা সদকা করা আমার কাছে শত বর্বর জাতি (Tuareg) আযাদ করা থেকে অনেক উত্তম।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৫৩ ]


** উম্মুল মুনিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, একদা হযরত আয়েশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে কিছু সদকা করতে বলে বললেন, এ সদকা থেকে যেন বর্বর জাতির (Tuareg)  কাউকে কোনো কিছু দান করা না হয়। যদি ও সেগুলো কোনো কুকুরকে ভক্ষন করানো হলেও (অর্থাৎ তাদের কুকুরকেও যেন কিছু না দেওয়া না হয)

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৫৪ ]


কিন্তু কেন রাসূল (সাঃ) তাদের ব্যাপারে আমাদেরকে এত কঠিন ভাষায় সতর্ক করলেন?
-------------------------------------------------------------------

১,তাদের পূর্ব পুরুষরা আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত একজন নবীকে জবাই করে সে নবীর মাংস রান্না করে খেয়েছিল।

২,তারাই উত্তর আফ্রিকা ও মিশরে কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতির অনুসারীদেরকে কাফের সম্বোধন করে বের করে দিবে।

৩, তারাই হাজার বছর পূর্বের হারিয়ে যাওয়া দাস প্রথা পুনরায় চালু করবে। এবং মিশরের সম্মানিত মহিলাদের কে মাত্র ২৫ দিরহামের বিনিময়ে দাসী হিসেবে বিক্রি করবে।

৪, তারাই সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমস (Homs) শহরে কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতির অনুসারীদের উপর ১৬ মাস অবরোধ করে রাখবে।

৫, তারা নারী-পুরুষ সবাইকে কোন কারন ছাড়াই হত্যা করবে। এবং গর্ভবতী নারীদেরকে পেট ছিড়ে
বাচ্চা বের করে আনবে।

৬,তারা আমরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেনে কে মিশরের আলেকজেন্দ্রিয়া থেকে পরাজিত করে বের করে দিবে।


তাদেরকে চিনার উপায় এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
-------------------------------------------------------------------

১, তারা হবে হলুদ পতাকাবাহী এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বরজাতি।

২, তাদের নেতা হবেন লম্বা প্রকৃতির একজন মানুষ। এবং তার নাম হবে আব্দুর রহমান হিন্দ।

৩, তারা উত্তর আফ্রিকাতে অবস্থানরত কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতির অনুসারীদের সাথে ৭ বার যুদ্ধে ঝড়াবে।

৪, তারা মিশরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং নৌ বন্দর আলেকজেন্দ্রিয়া থেকে আমরিকান/ ফ্রান্স /ব্রিটেনের সৈন্য এবং যুদ্ধ জাহাজকে হামলা করে দেশ থেকে বের করে দিবে।

[২০১৭ সালের জুন মাসে প্রেসিডেন্ট সিসি আলেকজেন্দ্রিয়া তে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সবচেয়ে বড় সামরিক কেন্দ্র উদ্বোধন ঘোষণা করেন]

৫, তাদের মোকাবিলা করার জন্য কালো পতাকাবাহী লোকজন এবং আরবরা সবাই একসাথে হামলা করবে।

৬, তারা হবে সভ্যতার বাইরের এক জাতি। এবং সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এর মসজিদের সৌন্দর্য দেখে আশ্চর্য হয়ে যাবে।

৭, তারা মিশর দখল করার পর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। এক দল ফিলিস্তিনের রামাল্লায় এই থাকবে। আরেক দল সিরিয়ার হোমস শহরে থাকবে।


কারা সেই জাতি? তাদের বর্তমান আবস্থা কি?
--------------------------------------------------------------

উত্তর আফ্রিকার দেশ নাইজার, মালি, বুরকিনা ফ্রাসো, দক্ষিণ আলজেরিয়া, এবং দক্ষিণ পশ্চিম লিবিয়ার তাওয়ারেগ (Tuareg) বা, তুরেগ উপজাতি। তাওয়ারেগ শব্দের অর্থ হলঃ আল্লাহর অবহেলিত বা, পরিত্যক্ত জাতি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শাহারা মরুভূমিতে তাদের বসবাস। বর্তমানে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে অবহেলিত ও বঞ্চিত জাতি। তাদের বর্তমান সংখ্যা প্রায় ২৫ - ৩০ লক্ষ। তার মধ্যে নাইজার ২০ লক্ষ, মালি তে ৫ লক্ষ, বুরকিনা ফ্রাসো তে ৪ লক্ষ এছাড়া আলজেরিয়া ও লিবিয়াতে প্রায় ২ লক্ষ লোক বসবাস করে। তারা মরুভূমিতে ছাগল, গরু, উট পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও সাহারা মরুভূমির সবচেয়ে বড় পাচারের রুট তারা নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের সম্পর্কে আরো জানতে ভিডিও টি দেখুনঃhttps://youtu.be/xBOf_X2Mswg


প্রায় ৩০০০ বছর ধরে তারা সাহারা মরুভূমিতে বসবাস করে আসছে। প্রাচীন গ্রিক ইতিহাসে তাদের বর্ননা রয়েছে। ৮ম শতাব্দীতে তারা ইসলাম ধর্মে আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। যদিও তারা মালেকি মাজহাবের অনুসারী কিন্তু তাদের পরিবার পরিচালনা করে মহিলা। ১৮৯৫ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল তাদের এলাকায়। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি এবং মূল্যবান পদার্থ ইউরেনিয়াম রয়েছে তাদের এলাকায়। লিবিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গদ্দাফি তাদেরকে লিবিয়াতে প্রবেশ এবং পশু ক্রয় ও বিক্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছিল। কিন্তু গদ্দাফির মৃত্যুর পর তারা আবার ও বিপদে পরে যায়।


কবে হবে তাদের উত্থান? কিভাবে হবে?
-----------------------------------------------------

২০১১ সালে আরব বসন্ত যখন লিবিয়াতে মুয়াম্মার গদ্দাফির বিরুদ্ধে আন্দোলন যখন গৃহযুদ্ধে রুপ নেয়। তখন তাদের জীবিকা নির্বাহ আরো কঠিন হয়ে যায়। এছাড়াও উত্তর আফ্রিকাতে আল কায়দার অনুসারী ইসলামিক মাগরিব (Islamic Magrib) আনসার আদ দিন, ইসলামিক শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছিল একই সাথে তাওয়ারেগ দের আয়মান আলী গ্রুপ আজওয়াদ বা, তাওয়ারেগ দের জন্য স্বাধীন দেশের  আন্দোলন শুরু করে। অল্প দিনের মধ্যেই তাওয়ারেগরা এবং আল কায়দার অনুসারীরা মালির রাজধানী কিদাল, তিমবুক্তু সহ অধিকাংশ এলাকা দখল করে নেয়। তখন এই এলাকার সাবেক উপনিবেশ স্থাপনকারী ফ্রান্স তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। ফ্রান্সের হামলার পর আল কায়দার অনুসারীরা পিছু হটলেও অল্প দিনের মধ্যেই তাওয়ারেগরা ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু লিবিয়াতে তারা দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।২০১৫ সালে কাতারের মধ্যস্থতায় ফিল্ড মার্শাল খলিফা হাতফার পরিচালিত Libyan National Army সাথে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করে। ২০১৭ সালে এসে তাওয়ারেগরা মালি (Mali 🇲🇱)  এর তিমবুক্তু থেকে লিবিয়ার গাট (Ghat), গাদামেস, উবারি ( Ubari) প্রদেশ পর্যন্ত বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।


** হযরত ওলীদ ইবনে ইয়াযিদ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কালো পতাকাবাহী হয়ে যখন তুর্কী সম্প্রদায় (তুরস্ক) বের হয়ে আসবে, তখন তোমরা তাদের ঘোড়ার যৌবন(ট্যাংক) নিঃশেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষন না পশ্চিমারা (Tuareg) বের হয়ে আসে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৪৭ ]


অত্যন্ত আশ্চর্যের সাথে আমরা দেখছি, সিরিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই তুরস্ক নিজেদের দুরত্ব বজায় রাখছে। কিন্তু ২০১৬ সালে তারা হঠাৎ করেই ইসলামিক ইস্টেট এর সাথে লড়াই করে উত্তর সিরিয়ার আল বাব শহর, এইজাজ শহর সহ কিছু এলাকা দখল করে, তারপর ২০১৭ সালে সুন্নী পন্থী বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি ইদলিব রক্ষা করতে রাশিয়া, ইরানের সাথে কাজাকিস্তানের রাজধানী আস্তানায় ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করে। ২০১৮ সালে তারা উত্তর সিরিয়ার আফরিন শহরে আমরিকান পন্থী কুর্দি বাহিনী YPG, SDF, PKK  এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ায়। ইতোমধ্যেই তারা ঘোষণা দিয়েছে, মানবিজ শহরেও অভিযান চালাবে। হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়া যুদ্ধে জড়িত থাকবে। তাই তাদের যুদ্ধ করা অবস্থায় হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতি (Tuareg) সম্প্রদায়ের উত্থান হবে।


** প্রসিদ্ধ সাহাহাবী হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, যখন মাগরিব বাসীরা(Tuareg) মিশর ভুখন্ডে প্রবেশ করে এতক্ষন পর্যন্ত অবস্থান করবে। মিশরের আদিবসিকে হত্যা করবে এবং বন্দি করবে। সে সময় অনেক ক্রন্দনকারী মহিলা তাদের সম্ভ্রম লুন্ঠিত হওয়ার কারনে বিলাপ করতে থাকবে, অনেকে কান্নাকাটি করবে তাদের সম্মানহানী হওয়ার কারনে। আবার অনেকে কাঁদবে তাদের পুরুষদেরকে হত্যা করার কারনে। আবার কেউ কেউ বিলাপ করতে থাকবে মৃত্যু ও কবরকে আলিঙ্গন করার জন্য।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৬৭ ]


**হযরত কা’ব (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, বর্বরজাতি লুকানো জাহাজ (সাবমেরিন) থেকে অবতরন করে উম্মুক্ত তলোয়ার (ক্রুজ মিজাইল) নিয়ে হিমসের দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে। এক পর্যায়ে হিমস নগরীতে প্রবেশ করবে। তখন বর্বর জাতির লক্ষন হবে, তাদের মুখে থাকবে, ইয়া হিমস! ইয়া হিমস!! (হোমস শহর জঙ্গীরা ধ্বংস করে দিল)

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৭৯ ]


** আব্দুস সালাম ইবনে মাসলামা থেকে বর্নিত তিনি বলেন আমি আবু কাবিলকে বলতে শুনেছি, যখনই মিশরের মিম্বরে আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ (অর্থাৎ কালো পতাকাবাহী দলের নেতা) আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাঠ করা হবে, তাহলে বেশিদিন আর অপেক্ষা করতে হবেনা সেই মিম্বরে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম বাদশাহ আব্দুল্লাহ আব্দুর রহমান (অর্থাৎ হলুদ পতাকাবাহী দলের নেতা) আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ থেকে বক্তব্য পাঠ করা হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৩৮ ]


অর্থাৎ যখন মিশর, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মালি তে কালো পতাকাবাহী আসহাব জাতির (Islamic state of Iraq and syria এর অনুসারীরা) মিশর দখল করে নিবে এর কিছু দিন পরেই হলুদ পতাকাবাহী আবকা জাতি অর্থাৎ (তাওয়ারেগ Tuareg) উত্থান হবে। তারা ইতোমধ্যেই লিবিয়া ও মালি সীমান্তবর্তী এলাকায় কালো পতাকাবাহী আসবাব জাতি (Islamic state) এর সাথে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে, মালি লিবিয়া সীমান্তে ইসলামিক ইস্টেট এর সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের আমিরকে হত্যা করেছে https://www.longwarjournal.org/archives/2018/02/tuareg-militias-battle-islamic-state-loyal-militants-in-northern-mali.php


আমাদের জন্য উদ্বেগ বিষয় হল সাম্প্রতিক সময়ে ইরাক ও সিরিয়ায় চাপের মুখে থাকা ইসলামিক ইস্টেট (Islamic state) ২০১৭ সালে শুধু লিবিয়াতে ১২হাজার সৈন্য জড়ো করেছে এবং  নতুন অনুসারীদেরকে লিবিয়াতে হিজরত করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে। তাই পরবর্তীতে যেকোন সময় তারা ইরাক ও সিরিয়ার মত বড় ধরনের অভিযান শুরু করতে পারে। ইতোমধ্যেই তাদের বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে তারা ৫ম সাহেল অভিযান(Shahel desert war) শুরু করবে। যার লক্ষে তারা লিবিয়াতে প্রচুর পরিমাণে ভারি অস্ত্র, গাড়ি, ট্রাক, বুলডেজার ও অর্থ সংগ্রহ করছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর আফ্রিকায় আল কায়দার  মাগরিব অঞ্চলের চারটি জোট একত্রিত হয়ে (Jamat Nusrat Al Islam wal Muslimin-JNIM) নামে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মালি, আলজেরিয়া, লিবিয়া ও মিশরে তাদের তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও শুধু মিশরেই আল কায়দা ও ইসলামিক ইস্টেট এর অনুসারী ১৭ টি গ্রুপ সক্রিয় ভাবে কাজ করছে। এছাড়াও ২০১৮ সালের ৩মার্চ মাসে খলিফা হাতফার পরিচালিত Libyan National Army তাদের আশেপাশের Tuareg militant, JNIM, কালো পতাকাবাহী (Islamic state) সৈন্যদের আসন্ন বিপদ থেকে বাঁচতে রাশিয়াকে লিবিয়ায় দ্রুত সামরিক ঘাটি করতে অনুরোধ করে।লিংকঃ
https://twitter.com/TheArabSource/status/970260123133280256?s=19


তাই সকল মুসলমানদের যারা ইমাম মাহদী আঃ এর আগমনের অপেক্ষায় আছেন, তাদের জন্যে অবশ্যই উত্তর আফ্রিকাতে অবস্থানরত কালো পতাকাবাহী ( Islamic state of Iraq and syria এবং  আল কায়দার অনুসারীরা Jamat Nusrat Al Islam and Muslimin-JNIM) এবং হলুদ পতাকাবাহী তাওয়ারেগ (Tuareg)  সম্প্রদায়ের উপর নজর রাখা জরুরী।

Popular posts from this blog

ইমাম মাহদী কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন? আমরা তাকে কোন দলে খুঁজে বের করব?

ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে ২০২৮ সালে (ইনশাল্লাহ)

ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় কোথায় এবং কবে ভেসে উঠবে? (২০২৩ সালে ইনশাল্লাহ)