ভয়ংকর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীঃ

আমরা কতটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি তা জানতে হলে, আমাদেরকে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বর্নিত আখিরুজ্জামানের হাদীসের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি মিলিয়ে দেখতে হবে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলতে, এখানে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের আমাক প্রান্তের মহাযুদ্ধের কথা বলা হয়নি, বরং বর্তমান যুগের ভয়ংকর পারমাণবিক যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে, এই যুদ্ধটি হবে গোটা বিশ্বব্যাপী। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ যারা আখিরুজ্জামান এর হাদীস গুলো নিয়ে গবেষণা করেন, তারা মনে করেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলতে আমাক প্রান্তের বা, দাবিক পাহাড়ের যুদ্ধকে বুঝায়? সত্যিকার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর আমাক প্রান্তের যুদ্ধ এক নয়। এই দুটি যুদ্ধের মধ্যে সময়ের ব্যবধান শত শত বছর। তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমাদের খুবই নিকটবর্তী, এই যুদ্ধে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে। থাকবেনা কোন দেশ,মহাদেশ, কাঁটাতারের বেড়া, আধুনিক প্রযুক্তি, অহংকারী নেতা ও তাদের দল। এমনকি এই ভয়ংকর বিশ্বযুদ্ধটি শত শত বছর পরে হবেনা, বরং ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বেই হবে, অর্থাৎ আমাদের একেবারেই নিকটবর্তী।


** হযরত হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অধঃপতন শুরু হবে। এমনকি মিশর অধঃপতনের সম্মুখীন হবে। আর মিশর নিরাপদ থাকতেই বসরার(ইরাক) অধঃপতন হবে। বসরা(ইরাকের) অধঃপতন হবে ডুবে যাওয়ার কারনে। মিশরের অধঃপতন হবে নিলনদ শুকিয়ে যাওয়ার কারনে। মক্কা ও মদিনার অধঃপতন হবে ক্ষুধার কারনে। ইয়েমেনের অধঃপতন হবে পঙ্গ পালের কারনে। উবলা'র অধঃপতন ঘটবে অবরোধের মাধ্যমে। পারস্যের(ইরানের) অধঃপতন হবে রিক্তহস্ত ও চোরডাকাতের মাধ্যমে। তুর্কিদের(তুরস্কের) অধঃপতন হবে দায়লামীর(কুর্দি) পক্ষ থেকে। দায়লামী(কুর্দি) অধঃপতন হবে আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে। আর্মেনিয়ার অধঃপতন হবে "খাযার"(রাশিয়া) পক্ষ থেকে।" খাযার" (রাশিয়া) দের অধঃপতন হবে তুর্কি(তুরস্ক) পক্ষ থেকে। আর তুর্কি(তুরস্ক) অধঃপতন হবে বজ্রাঘাতের(পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ) এর মাধ্যমে। সিন্ধ(পাকিস্তান) এর অধঃপতন হবে হিন্দুস্তান(ভারত) পক্ষ থেকে। হিন্দুস্তানের (ভারত) অধঃপতন হবে তিব্বতের (চীন) পক্ষ থেকে। তিব্বতের(চীন) অধঃপতন হবে "রমূল"(প্রাচীন রোমানদের একটি গোত্র বা, আমরিকা) পক্ষ থেকে। হাবসার (ইথিওপিয়া) অধঃপতন হবে ভূমিকম্পের মাধ্যমে। "জাওরা" (বাগদাদ) এর অধঃপতন হবে সুফিয়ানীর তান্ডবের কারনে। "রাওহা"(বাগদাদ শহরের ছোট এলাকা) এর অধঃপতন হবে ভূমিধ্বসের মাধ্যমে। আর সম্পূর্ণ কুফা(ইরাক) এর অধঃপতন হবে হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে।

( গ্রন্থঃ তাজকিরাহ, লেখকঃ ইমাম কুরতুবী, আন নিহায়া ফিল ফিতান, লেখকঃ ইবনে কাসীর, আস সুনানু ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান)


** হযরত ওহাব বিন মুনাব্বাহ (রাঃ) বলেন, আরব উপদ্বীপ(সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান) ততক্ষন পর্যন্ত ধ্বংস হবে না, যতক্ষণ না মিশর ধ্বংস হয়। বিশ্বযুদ্ধ ততক্ষন পর্যন্ত শুরু হবে না, যতক্ষণ না কুফা(ইরাকের একটি শহর) ধ্বংস না হয়। বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বনু হাশেমের এক ব্যক্তির হাতে কুস্তুন্তুনিয়া(ইস্তাম্বুল) বিজয় হবে। আন্দালুস(স্পেন) ও আরব উপদ্বীপ(সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত, বাহরাইন ওমান) এর অধঃপতন ঘটবে ঘোড়ার পা ও সেনাবাহিনীর পারস্পরিক মতানৈক্যের কারনে। ইরাকের অধঃপতন হবে ক্ষুধা ও তরবারি (অস্ত্র) কারণে। আরমেনিয়ার অধঃপতন ঘটবে ভূমিকম্প ও বজ্রাঘাতের(সম্ভবত পারমাণবিক বোমা বা, মিসাইল নিক্ষেপের) কারনে। কুফা(ইরাকের একটি শহর) ধ্বংস হবে শত্রুদের পক্ষ থেকে। বসরা(ইরাক) ধ্বংস হবে ডুবে যাওয়া/নিমজ্জিত হওয়ার কারণে। "উবলা"র অধঃপতন হবে শত্রুদের পক্ষ থেকে। "রাই" (ইরানের একটি শহর) এর অধঃপতন হবে দাইলামের(তুরস্ক ও ইরানের উত্তর এলাকার একটি তুর্কি গোত্র) পক্ষ থেকে। খোরাসানের(আফগানিস্তান ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা) অধঃপতন ঘটবে তিব্বত(চীন) এর পক্ষ থেকে। তিব্বত(চীন) এর অধঃপতন ঘটবে সিন্ধ(পাকিস্তান ও কাশ্মীর) এর পক্ষ থেকে। সিন্ধ (পাকিস্তান) এর অধঃপতন ঘটবে হিন্দুস্তান(ভারত) এর পক্ষ থেকে। ইয়েমেনের অধঃপতন ঘটবে টিড্ডি (পঙ্গপাল) ও বাদশাহীর কারনে। মক্কার অধঃপতন ঘটবে হাবশা(ইথিওপিয়া) এর পক্ষ থেকে। আর মদিনার অধঃপতন ঘটবে ক্ষুধার কারনে।

(আসসুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান)

উল্লেখ দুটি হাদীসের কয়েকটি বিষয় নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই। যেমনঃ


১, সিন্ধ(পাকিস্তান) ধ্বংস হবে হিন্দুস্তান(ভারতের) পক্ষ থেকেঃ
-------------------------------------------------------------------

ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। জন্মের পর থেকেই এই দুটি দেশ হুমকি, ধমকি, সীমান্তে গোলাগুলি, আর পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েই প্রতিনিয়ত দিন চলছে। এছাড়াও ১৯৬৫ ও ১৯৯৯ সালে এই দুটি দেশ ছোট খাট যুদ্ধে ঝড়িয়েও পরেছিল। ভবিষ্যতেও যে এই দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যেকোন মূহুর্তে যুদ্ধে ঝড়িয়ে পারতে পারে, এরকম আশঙ্কা সবাই করছেন। প্রতিনিয়ত পাল্লা দিয়ে বারিয়েই চলছে অস্ত্রের মজুদ, তাই পরবর্তীতে যুদ্ধ হলে সেটা যে, পারমাণবিক বোমা ব্যবহার হবে তা সবাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ভারত ও পাকিস্তানে বর্তমানে ১৫০ কোটি মানুষ বসবাস করছে, একই সাথে এই দু’দেশের ২৫০ টি পারমাণবিক বোমাও রয়েছে। যার কারনে উপমহাদেশের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, শুধুমাত্র পাকিস্তানই ভারতের হামলার কারনে ধ্বংস হয়ে যাবে, কেননা মুসলিম জাতির ধর্মই হল, আক্রান্ত হলে প্রতিরোধ করা, তাই হয়তো পাকিস্তান কখনও আগ বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না, ভারতই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে সর্বপ্রথম পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে, যার কারণে তারা সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। ভারত ও পাকিস্তানের অস্ত্রের মজুদ কি পরিমান রয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে এই ভিডিওটি দেখুনঃhttps://youtu.be/0_WCR2lKstU
এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক উত্তরাঞ্চলের কমান্ডার বিএস জাসওয়াল পাকিস্তানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ভারতের সাথে যুদ্ধ হলে পাকিস্তান প্রস্তর যুগে ফিরে যাবেঃ https://www.facebook.com/rtvonline/posts/10156473984829644


২,হিন্দুস্তান(ভারত) ধ্বংস হবে তিব্বতের(চীন) পক্ষ থেকেঃ
-------------------------------------------------------------------

যারা আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি ভালো জানেন, তারা দেখেছেন, ইতোমধ্যেই চীনের কাছে ভারত কিভাবে পররাষ্ট্র নীতি ও ভূ-রাজনীতিতে একের পর এক ধরা খেয়েই যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়াতে চীন দিন দিন ভারতকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে, ইতিপূর্বে ১৯৬৫ সালে ভারত চীনের কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়েছে। ভারত মহাসাগরের কাছাকাছি অবস্থিত দেশ হল শ্রীলঙ্কা, ভারত থেকে যার দূরত্ব মাত্র ৩০ কিঃমিঃ। আর চীন শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা সমুদ্র বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে, মূলত এর মাধ্যমেই চীন পুরো দক্ষিণ ভারতে নজরদারি ও ভবিষ্যত হামলা করার ভিত্তি তৈরি করে নিয়েছে। এছাড়াও উত্তর ভারতের সীমান্তবর্তী হিন্দু রাষ্ট্র নেপালের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ এখন চীন নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের রাজ পরিবারের অবসানের পর নেপালের রাজনীতিবিদ গন সম্পূর্ণ ভাবে চীন নির্ভরশীল হয়ে গেছে, এছাড়াও চীন নেপালের বিমান বন্দর ৫০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে, যার মাধ্যমে উত্তর ভারতে ভবিষ্যৎ হামলার পথ তৈরি করে নিয়েছে। আর পাকিস্তানের সাথে চীনের সম্পর্কের কথা তো সবাই জানে, ইতোমধ্যে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অধিকৃত আজাদ কাশ্মীর এলাকায় চীনের সামরিক ঘাটি নির্মাণও করেছে, যার মাধ্যমে ভারতের রাজধানী দিল্লি সহ কাশ্মীর, পাঞ্জাব এলাকায় ভবিষ্যৎ হামলার পথ তৈরি করে ফেলছে।  এছাড়াও ভারত মহাসাগরের আরেক রাষ্ট্রে এই প্রথম চীন মালদ্বীপ সরকারের অনুরোধে সেখানে সরাসরি সেনা বাহিনী পাঠিয়ে তার আগ্রাসী পররাষ্ট্র নীতির খোলস দেখিয়েছে। আর পূর্ব ভারতের সীমান্তবর্তী মায়ানমার তো বরাবরই চীনের উপর নির্ভরশীল, সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্কিত আরাকান অঞ্চলে রোহিঙ্গা বিতাড়িত করে সেখানে নাকি সামরিক ঘাটি নির্মাণ করেছে, এছাড়াও মায়ানমার সরকার সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য চীনের কোম্পানি গুলোকে ৭০% শেয়ারে দিয়ে দিয়েছে। ভারত সরকার চেয়েছিল, রোহিঙ্গা বিতাড়নের সময় মায়ানমারের পাশে থেকে তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে, কিন্তু তাদের সে আশায় গুরে বালি হবে, কারণ মায়ানমার কখনো চীনকে ছেড়ে ভারতের পক্ষে আসবে না। বলা যায়, ভারত এখন পর্যন্ত একমাত্র বাংলাদেশের উপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছে, আর সেটাও এখন পর্যন্ত টিকে থাকার মূল কারণ হলো ভারত পন্থী আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতা জোর করে দখল করার কারনে, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন মানে ভারতের সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণ করা দেশের পতন হওয়া, তাই ভারত কিছুতেই বাংলাদেশের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে চাচ্ছে না। আর এটা যে যেকোন সময় বিশাল পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেবে, সেটা ডোকলাম ইস্যুতে বুঝা গেছে, আর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদীসের বাস্তবতা ইতোমধ্যেই আমরা দেখতে পাচ্ছি।তাই ভারতে যদি চীন পারমাণবিক বোমা হামলা চালায়, ১২০ কোটি মানুষ সব ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এব্যাপারে পাকিস্তানের মুহাম্মদ বিন কাশিম নামে এক ব্যক্তির স্বপ্নে দেখেছে রাসূলুল্লাহ তাকে বলেছেন, ভারতের যুদ্ধে ৮০ কোটি মানুষ ধ্বংস হবে, ইউটিউবে গেলেই Mohammad qasim dreams/Abdullah servent লিখে সার্চ দিলেই তার ভিডিও গুলো দেখতে পাবেন। ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ও অস্ত্রের মজুদ সম্পর্কে জানতে এই ভিডিওটি দেখুনঃhttps://youtu.be/2Rsra3C9YC8


৩, তিব্বত(চীন) ধ্বংস হবে "রমূল"(প্রাচীন রোমানদের একটি গোত্র, বর্তমান আমরিকা) এর পক্ষ থেকে?
-------------------------------------------------------------------

প্রাচীন রোমানদের একটি গোষ্ঠীর নাম ছিল রমূল, যাকে ইংরেজীতে বলে, Romilia tribes. আমরা সবাই জানি, মধ্যযুগে এসব ইউরোপিয়ান রোমানরা উত্তর আমরিকাতে গিয়ে রেড ইন্ডিয়ানদের হত্যা করে, তারাই বংশবৃদ্ধি করেছে। তাই বর্তমান আধুনিক রোমান সম্রাজ্য হল আমরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ। ভারত ১৯৪৭ এর পর থেকে সবসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক রেখেছিল, কিন্তু বর্তমান বিজেপি সরকার আসার পর থেকে তারা চীনকে মোকাবেলা করার জন্য আমরিকার সাথে সম্পর্ক উন্নত করেছে। আর চীন যেরকম ভাবে ভারতকে চতুর্দিক থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে? ঠিক আমরিকাও চীনকে তিনদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। বর্তমানে আমরিকা চীনকে মোকাবিলা করতে দক্ষিণ কোরিয়াতে ৩৫০০০ সৈন্য, জাপানে ৪০০০০ সৈন্য, হাওয়াই দ্বীপে ৪০০০০ সৈন্য, মার্কিন সপ্তম নৌবহর, ও গুয়াম দ্বীপে তাদের স্থায়ী ঘাটি রয়েছে। মার্কিন সপ্তম নৌবহর রয়েছে ২০০ টি জাহাজ, ১৪০টি যুদ্ধ বিমান ও ২০০০০ সেবক। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডেও তারা ঘাটি করছে। বিস্তারিত জানতে The gerdian এর খবর টি পড়ুনঃhttps://www.theguardian.com/us-news/2017/aug/09/what-is-the-us-militarys-presence-in-south-east-asia
এছাড়াও চীন ২০১৮ সালে এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য ইউএস ডলারের পরিবর্তে চীনের মুদ্রার মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় শুরু করেছে, যার মাধ্যমে আমরিকার সাথে চীনের যুদ্ধের পথ আরো পরিষ্কার করে দিল। বর্তমানে চীন ও আমরিকার অস্ত্রের কি পরিমান মজুদ রয়েছে, তা জানতে এই ভিডিওটি দেখুনঃhttps://youtu.be/ubNRaDv7qxg


** হযরত ইবনে মা’দান (রহঃ) থেকে বর্নত,তিনি বলেন, যখন তোমরা রমাযান মাসে আকাশে মাশরিক(চীন, জাপান) থেকে আগুনের কিছু পিলার(পারমাণবিক বোমা) প্রকাশ পেতে দেখবে,তখন সাধ্যমত খাবার জোগাড় করে রাখবে।কেননা তার পরবর্তী বৎসর হচ্ছে দুর্ভিক্ষের বৎসর।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪৯ ]


অর্থাৎ যে বছর ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে, ঠিক সেই বছরেই ভয়ংকর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে, এবং এই বছরেই রমজান মাসে চীনের উপর পারমাণবিক বোমা হামলা চালানো হবে।
আল্লামা আলী আল কুরানী, তার" আসরে জুহুরী" গ্রন্থে আরো কয়েকটি হাদিসের বর্ননা কারীর নাম উল্লেখ না করে, সারাংশে বলেছেন,

" ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের বছর পৃথিবীতে অনেক যুদ্ধ সংঘঠিত হবে, যার দ্বারা পাশ্চাত্য জগৎ(ইউরোপ ও আমরিকা) ক্ষতিগ্রস্ত হবে"।
"জ্বালানি কাঠে যে রকম আগুন ধরে, ঠিক তেমনি পাশ্চাত্যে (ইউরোপ ও আমরিকা) যুদ্ধের আগুন প্রজ্বলিত হবে। প্রাচ্য (চীন, জাপান, কোরিয়া) ও পাশ্চাত্যের(ইউরোপ, আমেরিকা) মধ্যে। এমনকি মুসলমানদের নিজেদের মধ্যেও মতবিরোধ দেখা দিবে। আর সমগ্র মানব জাতি নিরাপত্তা হীনতার ভয়ের কারনে কঠিন দুঃখ,কষ্ট ও বিপদের মুখোমুখি হবে "।

(আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা নং - ৩২)


৪, তুর্কি(তুরস্কের) পতন হবে দায়লামীদের(কুর্দি) পক্ষ থেকে? অর্থাৎ তুরস্ক ধ্বংস হবে গৃহযুদ্ধের কারনে।
-------------------------------------------------------------------

** হযরত মাকহৃল (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, তুর্কিরা(তুরস্ক) মোট দুইবার আক্রমণ করবে, একবার আজারবাইজান নামক এলাকা বিরান ভূমিতে পরিনত করবে, দ্বিতীয়বার ফুরাত নদীর দুইকুলে আক্রমণ করবে। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াযিদ তার হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি এরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা তাদের ঘোড়া(ট্যাংক) সমূহের মধ্যে মৃত্যু চাপিয়ে দিবেন। যার কারনে তারা চলে যেতে বাধ্য হবে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে এমন ব্যাপক গনহত্যা চলবে, কোন তুর্কি(তুরস্ক) আর অবশিষ্ট থাকবেনা।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬১৬ ]


তুরস্ক ও আজারবাইজানের মধ্যে ১৯২০ সালে মধ্যে ভয়ংকর একটি যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধে ৫ লক্ষের মত মানুষ নিহত হয়েছিল। হাদিসের দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বার তারা ফোরাত নদীর দুইকূল আক্রমণ করবে? ইতোমধ্যেই আমরা এই হাদীসের বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি, তারা ফোরাত নদীর পশ্চিম পাশে আফ্রিন, আল বাব ও মানবিজ শহরে অভিযান চালিয়েছে। খুব শীঘ্রই ইরাক - সিরিয়ার বর্ডারে সিনজার, হাসাকা প্রদেশে অভিযান চালাবে। একসময় আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর পরাজয় চাপিয়ে দিবেন, যার কারণে একসময় তারা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু করে দিবে এবং একসময় ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে তাদের ধ্বংসের মূল কারণ হলো দুটিঃ

A) আরব উপদ্বীপে (অর্থাৎ সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান) তারা যুদ্ধ করতে যাবে। খুব সম্ভবত সৌদি আরবে যখন রাজনৈতিক শূন্যতা দেখা দিবে, তখন তুরস্ক চাইবে সৌদি আরবের পূর্ন নিয়ন্ত্রণ নিতে। কিন্তু শত চেষ্টা করেও তারা পুনরায় সৌদি আরবের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবেনা।

**হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তুর্কিবাহিনী(তুরস্ক) জাযিরায়(সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান) এসে ছাউনি ফেলবে। এক পর্যায়ে তাদের ঘোড়াকে(ট্যাংক) ফুরাত নদী থেকে পানি পান(অবস্থান) করাবে, তাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা মহামারী প্রেরণ করবে, যার কারণে অনেকে মারা যাবে। উক্ত মহামারী থেকে মাত্র একজন লোক মুক্তি পাবে। ইবনু আইয়াশ (রহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার সংবাদ দিয়েছেন, কা’ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তারা এসে আ’মাক(সিরিয়ার উত্তর আলেপ্পো) নামক এলাকায় অবস্থান করবে এবং দাজলা ও ফোরাত নদী থেকে পানি পান করবে। তারা জাযিরা(সৌদি আরব) দখল করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। তখন মুসলমানরা উক্ত জাযিরায় অবস্থান করবে। তারা তাদের সাথে কোনো অবস্থাতেই পেরে উঠবেনা। তাদের উপর আল্লাহ তাআলা বরফ বর্ষণ করবেন। বরফের সাথে ছিল, ঠান্ডা বাতাস, (বোমা বিস্ফোরণের) আওয়াজ ও তুষারাপাত। যার কারণে তারা ঠান্ডায় নির্বাক হয়ে ফিরে যাওয়ার মনস্থ করবে। তারা সহসা বলে উঠবে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাদেরকে শাস্তি দিবেন এবং তাদের সাস্তির জন্য শত্রুই যথেষ্ট হবে। তাদের একজনও জীবিত থাকবেনা, এমনকি সর্বশেষ লোকটিও মারা যাবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬১২ ]


ইতোমধ্যেই আমরা এই হাদীসের বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি, তুরস্ক ২০১৫ সালে কাতারে ঘাটি স্থাপন করেছে। এমনকি ২০১৭ সালে সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে দ্বন্দ্বের সময় তুরস্ক সেখানে আরও সেনাবাহিনী প্রেরন করেছে। ভবিষ্যতে যখন সৌদি আরবে রাজনৈতিক শূন্যতা দেখা দিবে, তখন তুরস্ক চাইবে সৌদি আরব দখল করতে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর পরাজয় চাপিয়ে দিবেন, একপর্যায়ে তারা সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। হাদিসের দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছে, তারা সিরিয়ার আ'মাক প্রান্তে ছাউনি ফেলবে? ইতোমধ্যেই তারা সিরিয়ার আফ্রিন, আল বাব শহর দখল করেছে। এবং শীঘ্রই মানবিজ, কোবানী, রাক্কা, হাসাকা প্রদেশ কুর্দিদের থেকে দখল মুক্ত করবে, এমন ঘোষণা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৮ সালে তুরস্ক ইরাকের সাথে মিলে ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী সিনজার এলাকায় কুর্দি বাহিনী বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে, এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

B) প্রথম সুফিয়ানীর উত্থানের পর যখন ফোরাত নদীতে দেইর আজ জুরের নিকটবর্তী ঐতিহাসিক কিরকিসিয়ার প্রান্তে সোনার পাহাড় ভেসে উঠবে। তখন তুরস্ক ও আমরিকা মিলে এটি দখল করতে চাইবে, কিন্তু তারা সেটি দখল করতে পারবে না। সেখানে উভয় পক্ষের প্রতি ১০০ জনের ৯৯ জন মারা যাবে। বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ ফোরাত নদীতে সোনার পাহাড় কোথায় ভেসে উঠবে? এবং কবে ভেসে উঠবে? ২০২৩ সালে (ইনশাল্লাহ)
https://islamicastrolgy.blogspot.com/2018/01/blog-post_24.html?m=1

মূলত তুরস্কের পতনের পর পরই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চুড়ান্ত ভাবে শুরু হবে। সেটি খুব সম্ভবত ২০২৭ সালে হতে পারে। আর এব্যাপারে পাকিস্তানের Mohammad Qasim এর একটি স্বপ্নের কথাও একই রকম। ভিডিওটি দেখুনঃhttps://youtu.be/TK0Iv3NdAP4


৫, তাহলে আমরিকা ও রাশিয়ার কি হবে?
------------------------------------------------------

ভয়ংকর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমরিকা নামে কোন দেশ মানচিত্রে থাকবে বলে মনে হয় না। চীন ও আমরিকা যুদ্ধের কারণে দুটি দেশ মানচিত্র থেকে বিদায় নিবে এরকম আভাস বিভিন্ন হাদীসে পাওয়া যাচ্ছে। আর রাশিয়া ও পশ্চিম ইউরোপের দেশ সমূহ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু পুরো পুরি ধ্বংস হয়ে যাবে না। তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমরিকা পুরোপুরি ধ্বংস হওয়ার পূর্বে তারা আরো দুটি ছোট ছোট যুদ্ধে পরাজিত হবে। একটি সিরিয়াতে অপরটি মিশরে। বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ আমরিকার জন্য অপেক্ষা করছে আরো দুটি পরাজয়ঃhttps://islamicastrolgy.blogspot.com/2018/03/blog-post_13.html?m=1


** হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, তোমাদের নবী (সাঃ) এর আহলে বাইতের (ইমাম মাহদী) আবির্ভাবের কতগুলো নিদর্শন রয়েছে, যা আখেরি জমানার প্রকাশ পাবে। ঐ যুগে রোমানরা (আমরিকা) ও তুর্কিরা(রাশিয়া) একে অপরের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করবে, বিদ্রোহ করাবে, তোমাদের বিরুদ্ধে তাদের সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করবে। আর তুর্কিরা(রাশিয়া) রোমানদের (আমরিকা) বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং সমগ্র পৃথিবী জুড়ে যুদ্ধ, সংঘর্ষ ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে"।

(বিহারুল আনোয়ার, খন্ড - ৫২,পৃষ্ঠা - ২০৮, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা - ৪১)


**হযরত মুহাম্মদ বাকির (রহঃ) বলেছেন, "প্রাচ্য (চীন, জাপান, কোরিয়া) ও পাশ্চাত্যবাসী (আমরিকা) মতবিরোধ করবে। এমনকি কিবলাপন্থীরা (মুসলমানরা) নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ করবে এবং তখন বিশ্ববাসীও অসহনীয় ভয়-ভীতি ও আতংকের সম্মুখীন হবে। আর আকাশ থেকে আহ্বানকারীর (জিব্রাইল আঃ) এর আহ্বান করা পর্যন্ত তারা এই অবস্থার মধ্যেই থাকবে। যখন গায়েব থেকে (জিব্রাইল আঃ এর) আহ্বানধ্বনি শুনবে তখন তোমরা হিজরত করবে"।

(প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ২৩৫, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা ১৮৯)


** হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) থেকে বর্নিত, যখন শামে(সিরিয়া) বিভিন্ন ধরনের বিপদ আপদ ও বিশৃঙ্খলা দেখতে পাবে, তখন থেকে আরব উপদ্বীপে পাশ্চাত্যের(আমরিকা) এগিয়ে আসা পর্যন্ত রয়েছে মৃত্যু(ধ্বংস) আর মৃত্যু(ধ্বংস)। তখন তাদের(রোমানদের নিজেদের) মধ্যে বেশ কিছু ঘটনা(যুদ্ধ) সংগঠিত হবে।

(আল মালাহিম ওয়াল ফিতান, পৃষ্ঠা-১০৭, আসরে জুহুরী,পৃষ্ঠা-৪৭)


** শাহ নেয়ামতুল্লাহ ওয়ালী (রহঃ)-এর "কাসিদাহ" গ্রন্থে আজ থেকে প্রায় সাড়ে আটশত বছর পূর্বে ( হিজরী ৫৪৮ সাল মোতাবেক ১১৫২ খ্রিস্টাব্দে) তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং এর পরিণতি সম্পর্কে তিনি বলে গিয়েছেনঃ
"ভারতের মত পশ্চিমাদেরও ঘটিবে বিপর্যয়
তৃতীয় বিশ্ব সমর সেখানে ঘটাইবে মহালয়"
ব্যখ্যা: ভারতের পাশাপাশি আমরিকা ও ইউরোপে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারণে মারাত্মক ভাবে ধ্বংস ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে এবং সেখানেই মহালয় বা, সবচেয়ে বড় ধ্বংসলীলা চালাবে।
"এ রণে(যুদ্ধে) হবে ‘আলিফ’ এরূপ পয়মাল(ধ্বংস) মিসমার
মুছে যাবে দেশ, ইতিহাসে শুধু নামটি থাকিবে তার"।
ব্যখ্যা: এ যুদ্ধের কারণে আলিফ- আমেরিকা এরূপ ধ্বংস হবে যে ইতিহাসে শুধু তার নাম থাকবে, কিন্তু বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব থাকবে না।


অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্র ঈসরাইলের কি হবে?
--------------------------------------------------

** হযরত কা’ব (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কসম সে সত্ত্বার, যার হাতে আমার প্রাণ! অতি স্বত্তর হিমস (সিরিয়ার হোমস) নগরীতে বর্বর বাহিনী (Tuareg) প্রবেশ করবে। তাদের সর্বশেষ দল সেখানের বাসিন্দাদের ঘরের দরজার লক খুকে ফেলবে এবং তাদের একটা অংশ ফিলিস্তিনে অবস্থান নিবে। অতঃপর তারা হিমস থেকে বের হয়ে বুহাইরায়ে ফামিয়া কিংবা তার থেকে এক মাইলের কাছাকাছি এলাকায় চলে যাবে। তখন তাদের দিকে বাহিরের একজন (প্রথম সুফিয়ানী) ধেয়ে আসবে এবং তাদেরকে হত্যা করবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৭৫ ]


বর্তমানে যেহেতু ফিলিস্তিনের নির্দিষ্ট কোন ভূখণ্ড নেই, যারাই ফিলিস্তিনকে উদ্ধার করতে আসবে, তাদের সাথেই ঈসরাইলের যুদ্ধ হবে। হাদিস থেকে বুঝা যায়, উত্তর আফ্রিকার Tuareg militant এবং আল কায়দার অনুসারী গ্রুপ JNIM মিলে সর্বপ্রথম ফিলিস্তিনের জেরুজালেম, রামাল্লা সহ পশ্চিম তীর দখল মুক্ত করবে এরকম দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়। তবে সেটি ২০২২ সালে হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে। কারন ফিলিস্তিন, লেবাননের কয়েক জন শাইখ সূরা বানি ঈসরাইল এর আবজাদ বা, সংখ্যাতত্ত্ব হিসাব করে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। এছাড়াও ইহুদীদের অনেক রাবী (ধর্মগুরু), ঈসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট হেনরী কিসিন্জার সহ অনেকেই ২০২২ সালের কথা বলেছেন। বিস্তারিত জানতে এই দুটি ভিডিওটি দেখুনঃhttps://youtu.be/Stet0CdNcfE এবং https://youtu.be/FsLzgPPJgFc
এছাড়াও বানু কাল্ব গোত্রের প্রথম সুফিয়ানীও ঈসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন এরকম কিছু বর্ণনাও রয়েছে। এবং তৃতীয় পর্যায়ে খোরাসান থেকে আত্নপ্রকাশ করা কালো পতাকাবাহী দলও জেরুজালেমে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে এরকম হাদিস ও রয়েছে।


** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”।

(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)


** ইমাম বাকের (রহঃ) থেকে জাবের জুফী বর্ননা করেন, "যখন রোমের বিদ্রোহীরা(রাশিয়ান অর্থডক্স খ্রিস্টানরা) রামাল্লায়(ঈসরাইলের দখলকৃত পশ্চিম তীর) অবতরণ করবে। হে জাবের ! ঐই বছর পাশ্চাত্যের পক্ষ থেকে সমগ্র বিশ্বে প্রচুর দ্বন্দ্ব-সংঘাত(যুদ্ধ বিগ্রহ) সংঘটিত হবে"।

(বিশারাতুল ইসলাম, পৃষ্ঠা নং-১০২, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা নং-৪৯)


"ইনশাল্লাহ, ঈসরাইল আগামী শতাব্দীতে ধ্বংস হয়ে যাবে, এমনকি আগামী শতাব্দীর এক চতুর্থাংশের মধ্যেই(অর্থাৎ প্রথম ২৫ বছর) এমনকি ২০২৭ সালেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিভাবে আপনি এত নির্দিষ্ট করে বলছেন, তিনি উত্তর দিয়েছিলেনঃ আমি কোরআনকে বিশ্বাস করি। প্রতিটি জাতির জন্যই একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, প্রথম ৪০ বছর হল প্রতিষ্ঠার সময়, দ্বিতীয় ৪০ বছর হল নিরাপত্তা ও সুখ্যাতি অর্জনের সময়, শেষ ৪০ বছর হল বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসের সময়"।

(হামাসের প্রতিষ্ঠাতাঃ শাইখ আহমদ ইয়াসিন রহঃ)


শাইখ আহমদ ইয়াসিন রহঃ এর ভবিষ্যত বাণীর সাথে হাদিসের অনেক মিল রয়েছে, কারন ২০২৮ সালে দিকে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃhttps://islamicastrolgy.blogspot.com/2018/02/blog-post.html?m=1

উল্লেখ যে, ইমাম মাহদী আবির্ভাবের পর ইসরাইলে ইহুদী বেচে থাকবে ১ লাখেরও কম। যখন তুরস্কের আন্তাকিয়া প্রদেশের একটি গুহা থেকে তাওরাত শরীফের আসল কপি বের করে আনবেন, তা পড়ে বেশিরভাগ ইহুদী মুসলমান হয়ে যাবে। মূলত দাজ্জালের সঙ্গী হবে ইরানের ইস্ফাহানের ইহুদীরা, বর্তমানে সেখানে ৯০০০ হাজারের মতো ইহুদী রয়েছে।
এছাড়াও মিশর, সৌদি আরব, ইরান, সুদান, ব্রিটেন, ফ্রান্স সহ অন্যান্য শক্তিশালী দেশ সমূহ পর্যন্ত তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারণে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্থায়ীত্ব হবে মাত্র ৫ মাস?
-----------------------------------------------------------

**বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্নিত,তিনি বলেন,(মাহদীর আবির্ভাবের বছর) রমাযান মাসে এমন বিকট আওয়াজ (হযরত জিব্রাইল আঃ এর ঘোষণা) প্রকাশ পাবে, যা দ্বারা ঘুমন্ত লোকজন জাগ্রত হয়ে যাবে এবং কুমারী নারীগন পর্দা ছেড়ে বেরিয়ে পড়বে। শাওয়াল মাসে মহামারি দেখা দিবে।জিলক্বদ মাসে এক গোত্র আরেক গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে। এবং জিলহজ্ব মাসে পরস্পরের মাঝে খুন-খারাপি দেখা দিবে। অতঃপর মুহাররম মাসে,মুহাররম কি!এভাবে তিনবার উচ্চারন করার পর বললেন, মুহাররম মাস হচ্ছে,তৎকালীন রাজা-বাদশাহদের রাজত্ব খতম (ধ্বংস) হয়ে যাওয়ার মাস"।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪৫ ]


** হযরত মুহাজির নিবাল (রহঃ) বলেন যখন রমযান মাস আসবে মানুষের আস্ত জ্বলে পুড়ে যাবে, শাওয়াল মাসে তারা একে অন্যকে আঘাত করতে থাকবে, জিলক্বদ মাস আসলে পরস্পর একে অন্যের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে থাকবে। আর জিলহজ্ব মাস শুরু হলে মানুষ খুনো খুনিতে লিপ্ত হয়ে পড়বে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৫১ ]


** হযরত কাসীর ইবনে মুররা (রহঃ) হতে বর্নিত,তিনি বলেন,ফেৎনার সূচনা লক্ষন সমূহ প্রকাশপাবে মূলতঃ রমযান মাসে, তীব্র আকার ধারন করবে শাওয়াল মাসে।জিলকদ মাসে এক এলাকার লোকজন আরেক এলাকর দিকে ধাবিত হবে এবং জিলহজ্ব মাসে এক শহরের বাসিন্দাগন অন্য শহরের বাসিন্দাদের প্রতি যুদ্ধের লক্ষে ধেয়ে আসবে।এসব কিছুর চুড়ান্ত নিদর্শন হচ্ছে, আকাশে আলোকিত-উজ্জল কোনো পিলার(পারমাণবিক বোমা) প্রকাশ পাওয়া ।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪৭ ]


তবে কিতাবুল ফিতানের আরো কয়েকটি হাদিস থেকে বুঝা যায়, যুদ্ধের সর্বমোট স্থায়ীত্ব হবে ১১ মাস। কিন্তু ৫ মাসের মাথায় পৃথিবীর বড় বড় শাসকদের পতন হয়ে যাবে, তার পরেও একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

** হযরত ফিরোজ দায়লামি (রাঃ)  বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কোন এক রমজানে আওয়াজ আসবে।”সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের শুরুতে? নাকি মাঝামাঝি সময়ে? নাকি শেষ দিকে?”নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “না, বরং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক মধ্য রমজানের রাতে। শুক্রবার রাতে আকাশ থেকে একটি শব্দ আসবে। সেই শব্দের প্রচণ্ডতায় সত্তর হাজার মানুষ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলবে আর সত্তর হাজার বধির হয়ে যাবে।”
সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! আপনার উম্মতের কারা সেদিন নিরাপদ থাকবে?”
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “যারা নিজ নিজ ঘরে অবস্থানরত থাকবে, সিজদায় লুটিয়ে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং উচ্চ শব্দে আল্লাহু আকবর বলবে। পরে আরও একটি শব্দ আসবে। প্রথম শব্দটি হবে জিব্রাইল এর, দ্বিতীয়টি হবে শয়তানের। ঘটনার পরম্পরা এরূপঃ শব্দ আসবে রমজানে। ঘোরতর যুদ্ধ সংঘটিত হবে শাওয়ালে। আরবের গোত্রগুলো বিদ্রোহ করবে জুলকা’দা মাসে। হাজী লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটবে জিলজ্জ মাসে। আর মুহাররমের শুরুটা আমার উম্মতের জন্য বিপদ। শেষটা মুক্তি। সেদিন মুসলমান যে বাহনে চড়ে মুক্তি লাভ করবে, সেটি তার কাছে এক লাখ মূল্যের বিনোদন সামগ্রীতে পরিপূর্ণ ঘরের চেয়েও বেশি উত্তম বলে বিবেচিত হবে।”
 
(মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩১০)


কখনো কি ভেবে দেখেছেন? কেন সেদিন বেচেঁ থাকাটা এক লক্ষ বিনোদন সামগ্রী পরিপূর্ণ ঘরের থেকেও কষ্টের হবে? কি ভয়ংকর পরিস্থিতি সেদিন হবে? পারমাণবিক যুদ্ধ ব্যতীত আর কি দুর্যোগ থাকতে পারে?


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কি পরিমান মানুষ ধ্বংস হবে?
-----------------------------------------------------------------

** হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) বলেছেন, "পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এ ঘটনা (ইমাম মাহদীর আবির্ভাব) ঘটবে না। তখন আমি (আবু বসির) জিজ্ঞেস করলাম, যখন পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন কোন ব্যাক্তি অক্ষত থাকবে? উত্তরে, হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) বলেছেন, তোমরা(মুসলমানেরা) কি অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশের মধ্যে থাকতে চাও না?"

(বিহারুল আনোয়ার, খন্ড ৫২,পৃষ্ঠা ১১৩,  আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা নং - ১৯০)


** হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের নিকটবর্তী সময়ে দুই ধরনের মৃত্যু দেখা দিবে। লাল মৃত্যু ও শ্বেত মৃত্যু। হঠাৎ হঠাৎ লাল ও রক্তবর্ণ বিশিষ্ট পঙ্গপালের প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে। আর লাল মৃত্যু হল তরবারি(যুদ্ধের) দ্বারা মৃত্যু ও শ্বেত মৃত্যু হল প্লেগ, মহামারী দ্বারা মৃত্যু "।

(কিতাবুল ইরশাদ, পৃষ্ঠা - ৪০৫, গাইবাত, পৃষ্ঠা - ২৭৭, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা - ১৮৮)


** হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) থেকে বর্নিত, মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে দুই ধরনের মৃত্যু দেখা দিবে। লাল(যুদ্ধের কারণে) মৃত্যু ও শ্বেত(দুর্ভিক্ষ, মহামারীর কারনে) মৃত্যু। (অবস্থা এমন হবে) যে প্রতি ৭ জনের ৫ জন মৃত্যু বরন করবে "।

(বিহারুল আনোয়ার , খন্ড ৫২, পৃষ্ঠা ২০৭, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা ১৯২)

ইন্নানিল্লাহ ! বর্তমান পৃথিবীতে মানুষ রয়েছে ৮০০ কোটির বেশি, যদি দুই তৃতীয়াংশ বা, প্রতি ৭ জনের ৫ জন মানুষ ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে তো প্রায় ৬০০ কোটি মানুষ মারা যাবে, বেচে থাকতে পারবে মাত্র ২০০ কোটি।

** হযরত খালেদ ইবনে মা’দান রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর পূর্বদিক(চীন, জাপান ও কোরিয়া) থেকে আগুনের তৈরি পিলারের ন্যায়(পারমাণবিক বোমা) এক নিদর্শন প্রকাশ পাবে। যেটা জমিনের সকলে দেখবে। তোমাদের কেউ এমন যুগ প্রাপ্ত হলে, সে যেন তার পরিবারের জন্য এক বৎসরের খোরাকী(খাদ্য) প্রস্তুত রাখে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৩ ]


**হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন "ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে অবশ্যই এমন একটি বছর অতিবাহিত হবে, তখন মানবজাতি তীব্র ভাবে খাদ্যের অভাবে কষ্ট পেতে থাকবে, তাদেরকে হত্যা করার দরুন আতংক তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে"।

(বিহারুল আনোয়ার, খন্ড ৫২,পৃষ্ঠা ২২৯, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা ১৮৯)


** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন একবার যুদ্ধ হবে। আর মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করবে। তারা একসাথে হজ্ব আদায় করবে। তারা একসাথে আরাফায় অবস্থান করবে। তারা একসাথে কুরবানি করবে। অতপর তাদের মাঝে কুকুরের ন্যায় অশান্ত হয়ে উঠবে। ফলে তারা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। এমনকি আকাবাতে তাদের রক্ত পৌছে যাবে। আর নির্দোষ ব্যক্তি দেখবে যে, তার নির্দোষ থাকার পরেও তাকে মুক্তি দিতে পারবে না। আর পৃথক হওয়া ব্যাক্তি দেখবে যে, তার পৃথিবীটা তাকে কোন উপকার আসবে না। অতপর তারা এক যুবক ব্যক্তিকে অপছন্দ করতে চাইবে। যার পিঠ রুকুনের সাথে ঠেকানো থাকবে। তার কাঁধের গোস্ত আওয়াজ করবে। পৃথিবীতে তাকে মাহদী বলা হবে। আর সে আকাশেও মাহদী। সুতরাং তাকে যে পাবে সে যেন তাকে অনুসরণ করে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৯৩ ]


** হযরত মুহাম্মদ বাকির (রহঃ) থেকে বর্নিত, "ভয়-ভীতি, ভূমিকম্প, ফিতনা এবং যেসকল বিপদ আপদে (সমগ্র) মানবজাতি জড়িয়ে যাবে, তার পরপরই কেবল ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে। এর আগে তারা(মানবজাতি) প্লেগ বা, (দুর্ভিক্ষের কারণে) মহামারীতে আক্রান্ত হবে। এর পরে আরবদের মধ্যে যুদ্ধ ও রক্তপাত হবে। এমনকি বিশ্ববাসীর মধ্যেও মতবিরোধ দেখা দিবে। ধর্মে দ্বিধা বিভক্তি দেখা দিবে এবং অবস্থা এতটাই শোচনীয় হবে যে, একে অপরকে হত্যা করতে দেখে,সবাই সকাল সন্ধ্যা নিজের মৃত্যু কামনা করবে"।

(শেখ সাদুক প্রণীত "কামালুদ্দিন" পৃষ্ঠা ৪৩৪, আসরে জুহুরী, পৃষ্ঠা ১৮৮)


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে দ্বিতীয় সুফিয়ানীর যুগেঃ
--------------------------------------------------------------

** হযরত আরতাত (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, দ্বিতীয় সুফিয়ানীর যুগে যুদ্ধ-বিগ্রহ এত ব্যাপক আকার ধারন করবে, যা দ্বারা প্রত্যেক জাতি মনে করবে তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৩২ ]


** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কিছু দিনের মধ্যে জনৈক লোক(সুফিয়ানী) তার নিতম্ব হেলিয়ে নাচতে থাকবে। যে লোক কানা চোখের অধিকারী। তার যুগে যুদ্ধ, হত্যা, বন্দি ইত্যাদি ব্যাপক আকার ধারন করবে। তিনি হচ্ছে, সেই লোক(সুফিয়ানী) যে মদীনাতে আক্রমন করার জন্য সৈন্য প্রেরণ করবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮২৬ ]


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে বিখ্যাত মনীষীগন কি বলে গিয়েছেনঃ
-------------------------------------------------------------------

১, বৃটেন থেকে বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র “The Daily Telegraph” ৯ জুন ২০১৫ সংখ্যায় “Here’s how World War Three could start tomorrow তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে লিখেন ” Throughout history, rising powers have repeatedly tested the status by using their might: Harvard professor Graham Allison found that, since 1500, 11 out of 15 such cases have result in conflict.
অর্থাৎ: ইতিহাস সাক্ষী, ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা বারবার তাদের শক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষা করেছে। হার্ভার্ড প্রফেসর গ্রাহাম অ্যালিসন তার অনুসন্ধানে পেয়েছেন এই ধরণের ১৫ টার মধ্যে ১১ টা ঘটনাই সংঘাতে রূপ নিয়েছে। অর্থাৎ বড় কোন যুদ্ধের দিকে মোড় নিয়েছে।
তাদের প্রবন্ধে আরোও বলা হয়েছে-
How might a third world war unfold? Undoubtedly differently from the small wars of today.
অর্থাৎ: একটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিভাবে বিস্তৃত হতে পারে? নিঃসন্দেহে ভিন্নভাবে আজকের ‘ছোট যুদ্ধ’ থেকে।

২, ১৬শ শতাব্দীর ফরাসি পদার্থবিদ মাইকেল দে নোতর দাম, তার বিখ্যাত বই "The Prophecies" এ লিখেছেন "২০১৬ সালেই পৃথিবীর বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তিগুলির মধ্যে এক ব্যাপক যুদ্ধ শুরু হবে। যা দীর্ঘ ২৭ বছর স্থায়ী হবে, এবং বিপুল প্রাণহানির কারণ হবে"।
পশ্চিমা বিশ্বের অনেক বিজ্ঞজনরাই মনে করেন, তার এই ভবিষ্যৎবাণী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রতিই ইঙ্গিত দিচ্ছে।


৩, "তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ কি দিয়ে হবে তা আমি জানিনা, তবে চতুর্থ বিশ্ব যুদ্ধ হবে তীর, ধনুক আর ডাল, তলোয়ার দিয়ে হবে "।
                               (আলবার্ট আইনস্টাইন)


৪, বাসস (বংলাদেশ সংবাদ সংস্থা) এর সাবেক প্রধান সম্পাদক গাজিউল হক্ব তার ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পায়তারা কি শুরু হয়ে গেছে?’ প্রবন্ধে লিখেন, বিশ্বের বুদ্ধিজীবী মহল, বিশেষ করে প্রগতিশীলদের মধ্যে (ISIS) ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার’ ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র জেহাদ এবং বিশ্বমোড়লদের পক্ষপাতিত্ব এক নতুন উদ্বেগ ও আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হতে যাচ্ছে।


যদিও আমরা মনে করছি, তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হলেও সেটা হবে শত শত বছর পর, তখন আমরা থাকবো না, তাই এগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা করার দরকার নেই। আপনার জেনে রাখা দরকার প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিন্তু ঘোষণা দিয়ে শুরু হয়নি। পশ্চিমারা ভালো করেই জানে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও ঘোষণা ছাড়াই শুরু হবে, তাই পাশ্চাত্যের ইহুদী ও খ্রিস্টানরা কিন্তু আপনার মত বসে নেই। তারা তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কল্পিত রূপরেখা তৈরিও করে ফেলছে। যুদ্ধের জয় পরাজয় সব, মানুষের হতাহতের সংখ্যা, যুদ্ধের খরচ, যুদ্ধ কালীন খাদ্যের মজুদ সব কিছু নিয়েই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিস্তারিত জানতে এই ভিডিওটি দেখুনঃhttps://youtu.be/qP3993eJMGs

Popular posts from this blog

ইমাম মাহদী কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন? আমরা তাকে কোন দলে খুঁজে বের করব?

ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে ২০২৮ সালে (ইনশাল্লাহ)

ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় কোথায় এবং কবে ভেসে উঠবে? (২০২৩ সালে ইনশাল্লাহ)